১। ছোট-বড় সব ধরনের নাপাকী থেকে পবিত্র অবস্থায় আযান দেওয়া। (মুসান্নাফে ইবনে আবী শাইবা, হাদীস নং ২১৯৫; সুনানে বাইহাক্বী, হাদীস নং ১৯৩২)
২। মুআযযিনের আওয়াজ আকর্ষনীয় ও উচ্চ হওয়া। (সুনানে আবূ দাউদ, হাদীস নং ৪৯৯; মুসনাদে আহমাদ, হাদীস নং ১৬৪৭৮; সহীহ ইবনে খুযাইমাহ , হাদীস নং১৯৫)
৩। দাড়িয়ে আযান দেওয়া। (সুনানে বাইহাক্বী, হাদীস নং ১৯১৩; মুসান্নাফে ইবনে আবী শাইবা, হাদীস নং ২২৩৩)
৪। পরিপূর্ন কিবলামুখী হওয়া। পায়ের আঙ্গুলগুলো কিবলামুখী করে রাখা। (মুসান্নাফে ইবনে আবী শাইবা, হাদীস নং ২২৩০; সুনানে বাইহাক্বী, হাদীস নং ১৯১১)
৫। আযান দেওয়ার সময় দুই শাহাদত আঙ্গুলকে কানের ছিদ্রে প্রবেশ করিয়ে কানের উপরে উভয় হাত রেখে দেওয়া। (সুনানে তিরমিজী, হাদীস নং ১৯৭; সুনানে ইবনে মাজাহ, হাদীস নং ৭১০)
৬। প্রথম দুই তাকবীর একত্রে এক শ্বাসে বলা। এরপর মাঝের বাক্যগুলো এক এক শ্বাসে বলা। মাঝের বাক্যগুলো হল আশহাদু আল-লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ দুই বার বলা। অতঃপর আশহাদু আন্না মুহাম্মাদার রাসূলুল্লাহ দুই বার বলা। হাইয়া আলাস সালাহ দুই বার বলা। হাইয়া আলাল ফালাহ দুইবার বলা। তার পর দুই তাকবীর এক শ্বাসে বলা। অতঃপর লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ বলে আযান শেষ করা। (সুনানে আবূ দাউদ, হাদীস নং ৪৯৯; সুনানে নাসায়ী, হাদীস নং ১১৮৭)
৭। ফজরের আযানে হাইয়া আলাল ফালাহ বলার পর আস-সলাতু খয়রুম মিনান নাউম দুই শ্বাসে দুইবার বলা। (সুনানে ইবনে মাজাহ, হাদীস নং ৭১৬; মুসনাদে আহমাদ, হাদীস নং ১৫৩৭৯)
৮। প্রতি তাকবীরের শেষে সাকিন করা। এবং প্রত্যেক বাক্যের শেষে ওয়াকফ করা ও থামা। (মুসান্নাফে ইবনে আবী শাইবা, হাদীস নং ২২৩৪; সুনানে বাইহাক্বী, হাদীস নং ২০৯২)
৯। “হাইয়া আলাস সালাহ” বলার সময় ডান দিকে চেহারা ফিরানো এবং “হাইয়া আলাল ফালাহ” বলার সময় বাম দিকে চেহারা ফিরানো। তবে সীনা ও পা ঘুরবে না। (সহীহুল বুখারী, হাদীস হাদীস নং ৬৩৪; সুনানে আবূ দাউদ, হাদীস নং ৫২০)
১০। আযানের শব্দগুলো টেনে টেনে বলা। (মুসান্নাফে ইবনে আবী শাইবা, হাদীস নং ২২৩৪; সুনানে তিরমিজী, হাদীস নং ১৯৫)
১১। সাদাসিধা আযান দেওয়া। আযানের মধ্যে তরঙ্গ সৃষ্টি না করা। (সহীহুল বুখারী, হাদীস নং ৬০৯ (তালীক); মুসান্নাফে ইবনে আবী শাইবা, হাদীস নং ২৩৯০)
১২। আযানের জবাব দেওয়া। আযানের জবাবে মুআযযিন যা বলে তা-ই বলবে। তবে হাইয়া আলাস সলাহ এবং হাইয়া আলাল ফালাহ এর জবাবে “লা হাউলা ওয়ালা কুউওয়াতা ইল্লা বিল্লাহ বলবে”। (সহীহুল বুখারী, হাদীস নং ৬১৩; সহীহ মুসলিম, হাদীস নং ৮৭৬)
উল্লেখ্য যে, আশহাদু আন্না মুহাম্মাদার রাসূলুল্লাহ এর জবাবে সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলা সহীহ নয় বরং হুবহু তা-ই বলবে।
১৩। আযানের শেষে দুরূদ শরীফ পড়া। (সহীহ মুসলিম, হাদীস নং ৮৭৫; সুনানে নাসায়ী, হাদীস নং ৬৭৮)
১৪। অতঃপর ওসীলার এই দুআ পড়া-
اللَّهُمَّ رَبَّ هَذِهِ الدَّعْوَةِ التَّامَّةِ وَالصَّلَاةِ الْقَائِمَةِ آتِ مُحَمَّدًا الْوَسِيلَةَ وَالْفَضِيلَةَ وَابْعَثْهُ مَقَامًا مَحْمُودًا الَّذِي وَعَدْتَهُ إِنَّكَ لاَ تُخْلِفُ الْمِيعَادَ
(সহীহুল বুখারী, হাদীস নং ৬১৪; সুনানে বাইহাক্বী, হাদীস নং ২০০৯)
ফযীলাতঃ যে ব্যক্তি আযানের জবাব দেওয়ার পর দুরূদ শরীফ পড়ে উক্ত দুআ পড়বে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম কিয়ামত দিবসে তার জন্য সুপারিশ করবেন। (সহীহুল বুখারী, হাদীস নং ৪৭১৯; মুসনাদে আহমাদ, হাদীস নং ১৪৮১৭)

Loading