Q : বিগত ২ মাস পূর্বে আমাদের বিবাহ সম্পন্ন হয়। কিছু দিনের মধ্যে স্ত্রীর পরিবারে তীব্র অসন্তোষ দেখা দেয়। আমার স্ত্রীকে ঘরে আটকে ফেলে। আমার শাশুড়ি তিনি মূলত উচ্চাভিলাষী। আমার স্ত্রীকে ভিন্নভাবে আবেগ তাড়িত করে বকাঝকা দিয়েছে। আবেগপূর্ণ কথা বলে বরং চাপে ফেলে কিছুদিন আগে অপ্রত্যাশিতভাবে আমার নিকট হঠাৎ ডিভোর্স নোটিশ পাঠায়ছে। এমনকি স্ত্রীর সাথে একদম যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন করে রেখেছে এমনকি দেখা করতে দেয়নি। শতচেষ্টার পরও সাক্ষাৎ পাইনি। শেষবার আমাকে বলেছিলো শাশুড়ি তাকে অভিশাপ দিচ্ছে চাপে আছে তার পরিবার সম্পূর্ণ জিদে আছে। সে নিরুপায় হয়ে পড়েছে। আমাকে যে নোটিশ/ হলফনামা দিয়েছে তাতে লিখা মুসলিম পারিবারিক আইনে ” বনিবনা হয়নি প্রায়শই সংসারে ঝগড়াঝাটি হতো ” যা সম্পূর্ণ মিথ্যা বানোয়াট অভিযোগ সে তো আমার সাথে সংসার করেইনি,মাত্র কিছুদিনের বিবাহ তাও আমার স্ত্রী তার বাবার বাড়িতেই ছিলো। ওখানে লিখা কাবিননামায় উল্লেখিত ১৮ নং কলাম অনুযায়ী আমাকে সে ১,২,৩ তালাকে বাঈন প্রদান করিয়া চিরতরে বৈবাহিক সম্পর্ক ছিন্ন করছে। অথচ কাবিননামায় তো এসব ছিলো না। শুধু সাক্ষর আর টিপ সই ছিলো আমাদের। পুরো কাগজ ফাঁকা ছিলো। এমনকি কাজী সাহেব কে আমি ১৮ নং কলাম সম্পর্কে আমি খুব বেশি জানতাম না,শুধু জানতাম এটা স্বামী অধিকার হ্যাঁ না দিতে হয়,তবুও আমি নিজ উদ্যেগ এ তাকে জিজ্ঞাসা করি এবং না লিখতে বলি। কিন্তু কাজী সাহেব “না” দিতে চাইলেন না। আমাকে বুঝালেন এটা দেশের আইনে নিয়ম, আমি তখন এসব বুঝতাম না, কাজী সাহেব এর মন্তব্যে নিজের মধ্য অসন্তুষ্ট ছিলাম। কাবিননামা উঠিয়ে দেখি ঐ ঘরগুলো লিখা হয়ে গেছে আমার কথা শুনেন নাই। আমার বউ যদি ফিরতে চায় তাহলে আমরা আবার দাম্পত্য জীবন করতে পারবো কি? এভাবে কি তালাক হয়?
A :আপনার প্রশ্নের উত্তর দেওয়ার জন্য স্ত্রীর প্রেরিত ডিভোর্স নোটিশ দেখা প্রয়োজন। তা মেইল (ahzoti@gmail.com) করে পাঠালেই উত্তর দেওয়া সম্ভব হবে।
আর বাস্তবেই যদি কাবিননামায় সাক্ষরের সময় আঠার নং ঘর ফাকা থেকে থাকে এবং পরবর্তীতে কাজী সাহেব তা নিজে পূরণ করে থাকে তবে স্ত্রীর একতরফাভাবে তালাক গ্রহনের কোন সুযোগ নেই। তিনি তালাক গ্রহন করলেও তা কার্যকর হবে না।–ফাতাওয়া হিন্দিয়া ১/৩৯০; ফাতাওয়া কাজীখান ১/৩৯৬; আল বাহরুর রায়েক ৩/৫৭২