Q : আসসালামু আলাইকুম। আলহামদুলিল্লাহ উত্তর পেয়েছি।১।একজন মুসলমানের ছেলে তার চাহিত ফলাফল পায় না।পক্ষান্তরে অমুসলিমের ছেলেরা সাফল্য পাচ্ছে মহা আল্লাহ তায়ালা কি তাদের বেশি দেন?২।হযরত হুরাই থেকে বর্ণিত আমরা দুইটা নিরাপত্তা পেয়েছি:-১.আল্লাহর রাসূল ২.এস্তেগ্ফার। এখন আল্লারর রাসূল নেই তবে কি আমাদের একটা নিরাপত্তা কমে গেছে?৩।জানাযার পর মৃতের মুখ দেখা যাবে কিনা?বিকৃত না হওয়ার জন্য রাসূল দোয়া করেছিলেন একথা কি সত্য?
A :জানাযার পর মৃতের মুখ দেখা যাবে কি?
আসসালামু আলাইকুম। ১। একজন মুসলমানের ছেলে তার চাহিত ফলাফল পায় না। পক্ষান্তরে অমুসলিমের ছেলেরা সাফল্য পাচ্ছে। মহান আল্লাহ তাআলা কি তাদের বেশি দেন? ২। হযরত আবূ হুরাইরা থেকে বর্ণিত, আমরা দুইটা নিরাপত্তা পেয়েছি: ক.আল্লাহর রাসূল খ.ইস্তেগফার। এখন আল্লারর রাসূল নেই তবে কি আমাদের একটা নিরাপত্তা কমে গেছে? ৩। জানাযার পর মৃতের মুখ দেখা যাবে কিনা? ৪। বিকৃত না হওয়ার জন্য রাসূল দোয়া করেছিলেন একথা কি সত্য?
ওয়া আলাইকুমুস সালাম
১। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ইরশাদ করেন-
لو كانت الدنيا تعدل عند الله جناح بعوضة ما سقى كافرا من شربة ماء
অর্থঃ যদি আল্লাহ তাআলার নিকট দুনিয়ার মশার পাখা পরিমান মর্যাদা হত তবে কোন কাফেরকে আল্লাহ তাআলা এক ঢোক পানি পান করতে দিতেন না।
উপরোক্ত হাদীস থেকে বুঝে আসে আল্লাহ তাআলার নিকট পুরো দুনিয়ার মূল্য একটি মশার পাখার চেয়ে কম। কাজেই কোন মানুষ যদি পুরো দুনিয়ার মালিক হয়ে যায় তবে সে আল্লাহ তাআলার নিকট কেমন যেন একটি মশার পাখাও অর্জন করতে পারেনি। তাই এই নশ্বর দুনিয়ার প্রাপ্তি ও অপ্রাপ্তি কখনো সফলতার মানদণ্ড হতে পারে না। বরং হাদীস শরীফে আছে এই দুনিয়াই সমস্ত অনর্থ ও গোনাহের মুল। তাই মুমিন এই দুনিয়া তার প্রাচুর্য থেকে যতই দূরে থাকবে ততই তার কল্যাণ।
আর মনের ইচ্ছা পূরা হওয়া বা না হওয়া উভয়ের মধ্যেই বান্দার কল্যাণ নিহিত। বান্দা দুনিয়াতে যখন কোন কিছু দুআ করেও পায় না তখন আল্লাহ তাআলা তার (ঐ দুআর) বিপরীতে আখেরাতে অনেক (মূল্যবান) কিছু দেন। যেটা তার দুনিয়ার ইচ্ছা পূরা হওয়ার চেয়েও বেশী উপকারী। বান্দা এটা এখন না বুঝলেও চোখ বন্ধ হওয়ার পরে তো বুঝবেই। আর কাফের তো মনের ইচ্ছা পূরা হলে এই নশ্বর দুনিয়ার মশার পাখাই পাবে। এর বেশী কিছু তো নয়। তাহলে আফসোস কিসের?
তাই বলা যায় আল্লাহ তাদেরকে মশার পাখা বেশী দেন আর মুমিনদেরকে অনেক মূল্যবান জিনিস দেন।
২। আল্লাহর রাসূল থাকার নিরাপত্তা তো আমরা নিঃসন্দেহে হারিয়েছি। কিন্তু বিনিময়ে আল্লাহ তাআলা আমাদেরকে তার যোগ্য ওয়ারিশ তো দিয়েছেন। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম যেমন সারা জীবন তার উম্মতকে হেদায়েতের উপর রাখার জন্য মেহনত করেছেন তেমনি তার ওয়ারিশগনও সেই চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। যখন তার ওয়ারিশ থাকবে না তখন কেয়ামত কায়েম হয়ে যাবে।
৩। না, জানাযার পরে মৃতের মুখ দেখানোর রসম মাকরূহ ও পরিত্যাজ্য।–রদ্দুল মুহতার ২/২৩২; আহসানুল ফাতাওয়া ৪/২২৯, ২৩০
৪। প্রশ্নটি আমি বুঝিনি।