Q : আমি প্রচলিত মিলাদ কিয়াম সমপোরকে জান্তে আগ্রোহি।

A :

প্রচলিত মীলাদ কিয়ামে শরয়ী দৃষ্টিকোন থেকে বেশ কিছু আপত্তিকর দিক রয়েছে। যেমন-
১। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে হাজীর-নাযির মনে করা হয়। যা স্পষ্ট শিরক। -সুনানে নাসায়ী, হাদীস নং ১২৮১; সুনানে তিরমিজী, হাদীস নং ৩৬০০; বাইহাকী, শুআবুল ঈমান, হাদীস নং ১৫৮৩।
২। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের জন্য দুরূদ ও সালাম প্রেরন করা একটি ব্যক্তিগত আমল। অথচ প্রচলিত মীলাদে এর সম্মিলিত রূপ প্রদান করা হয় এবং তা জরূরী মনে করা হয়। -ফাতাওয়া হিন্দিয়া ১/৩৭৮;আহসানুল ফাতাওয়া ১/২৬৩,২৬৪।
৩। দুআর জন্য সময় ও স্থানকে নির্দিষ্ট করা হয়। যা বিদআত। -কিফায়াতুল মুফতী ১/১৪১
৪। কিয়ামকে জরূরী মনে করা হয়। এবং দুরূদ শরীফ পাঠের জন্য কিয়ামকে আবশ্যক মনে করা হয়।
অথচ রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম কারো সন্মানার্থে দাঁড়ানোকে অপছন্দ করতেন। বরং হাদীস শরীফে বর্ণিত আছে, যে ব্যক্তি এতে আনন্দবোধ করে যে, মানুষ তার সন্মানার্থে দাড়িয়ে যাক, তাহলে সে যেন তার ঠিকানা জাহান্নাম করে নেয়। – সুনানে তিরমিজী, হাদীস নং ২৭৫৫;সুনানে আবূ দাউদ, হাদীস নং ৫২৩২।
৫। প্রচলিত এই মীলাদ কিয়াম না রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম থেকে প্রমাণিত, না সাহাবায়ে কেরাম থেকে,না তাবেয়ীগন থেকে,না তাবে তাবেয়ীগন থেকে, না আয়িম্মায়ে মুজতাহিদিন থেকে। কাজেই তা স্পষ্ট বিদআত। -সহীহুল বুখারী, হাদীস নং ২১৪১।
এছাড়াও প্রচলিত মীলাদ কিয়ামে শরয়ী দৃষ্টিকোন থেকে আরো বেশ কিছু আপত্তিকর দিক রয়েছে। আপনি বিস্তারিত জানতে চাইলে মুফতী উমর ফারূক বিক্রমপুরী সাহেবের(শিক্ষক, জামিআতুল আবরার রাহমানিয়া মাদ্রাসা, মুহাম্মাদপুর, ঢাকা) “মীলাদ কিয়াম ঈদে মীলাদুন্নবী সাঃ” নামক কিতাবটি পড়তে পারেন।

Loading