প্রশ্ন : আসসালামু আলাইকুম ক। কোন কোন সময় নামায পড়া নিষিদ্ধ? খ। কোন কোন দিন রোযা রাখা নিষিদ্ধ? গ। নামাযের মধ্যে কোন কোন কাজের জন্য নামায ভেঙ্গে যায় অথবা সিজদাহ্ সাহু দিতে হয়?
উত্তর :ওয়া আলাইকুমুস সালাম
ক। নিম্নোক্ত সময়গুলোতে নামায পড়া নিষেধঃ
(১) সূর্য উদয়ের শুরু থেকে নিয়ে উদয় হবার পরে ১০ মিনিট পর্যন্ত নামায পড়া নিষেধ। ফজরের নামাযের মাঝে সূর্য উদয় হলে নামায বাতিল গণ্য হবে।
(২) সূর্য হলুদ হয়ে যাওয়া থেকে নিয়ে সূর্য ডুবা পর্যন্ত। তবে ঐ দিনের আছর পড়তে গিয়ে সূর্য ডুবে গেলে তা আদায় হয়ে যাবে।
(৩) দ্বিপ্রহরের সময়।–রদ্দুল মুহতার ১/৩৭০-৩৭২; বাদায়েউস সানায়ে ১/৫৮৩; ফাতাওয়া হিন্দিয়া ১/৫২
খ। বছরে ৫ দিন রোযা রাখা হারাম। দুই ঈদের দিন এবং ক্বোরবানীর ঈদ পরবর্তী ৩ দিন।
গ। নামায ভঙ্গের কারণ ১৯ টি
১. নামাযে অশুদ্ধ পড়া।
২. নামাযের ভিতের কথা বলা।
৩. কোন লোককে সালাম দেয়া।
৪. সালামের উত্তর দেয়া।
৫. উহ-আহ শব্দ করা।
৬. বিনা ওযের কাশি দেয়া।
৭. আমলে কাছীর করা।
৮. বিপদে বা বেদনায় শব্দ করে কাঁদা।
৯. তিন তাসবীহ পরিমাণ সময় সতর খুলে থাকা।
১০. মুক্তাদী ব্যতীত অপর ব্যক্তির লোকমা গ্রহন করা।
১১. সুসংবাদ বা দুঃসংবাদের উত্তর দেয়া।
‘ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজি‘উন’ বলা।
১২. নাপাক জায়গায় সিজদা করা।
১৩. কিবলার দিক হতে সিনা ঘুরে যাওয়া।
১৪. নামাযে কুরআন শরীফ দেখে পড়া।
১৫. নামাযে শব্দ করে হাসা।
১৬. নামাযে দুনিয়াবী কোন কিছু প্রার্থনা করা।
১৭. হাঁচির উত্তর দেয়া।
(জাওয়াবে ‘ইয়ারহামুকাল্লাহ’ বলা)
১৮. নামাযে খাওয়া বা পান করা।
১৯. ইমাম হতে এগিয়ে মুক্তাদীর দাঁড়ানো।
আর নামাযে ওয়াজিবগুলোর মধ্য থেকে কোন একটি বা কয়েকটি ভুলে ছুটে গেলে সিজদায়ে সাহূ ওয়াজিব হয়। কোন ফরজ ছুটে গেলে বা ইচ্ছাকৃত কোন ওয়াজিব ছেড়ে দিলে সিজদায়ে সাহূ দিলেও নামায হবে না।–ফাতাওয়া হিন্দিয়া ১/১২৬; হালবিয়ে কাবীর, পৃষ্ঠা ৪৫৫