প্রশ্ন : মুহতারাম, ১। السلام عليكم ورحمة الله…. طه (ত্বহা) এটি নকি নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের নাম? হলে দলীল কি? এবং এই নামটি কি ছেলে বা মেয়েদেৱ নাম রাখা যাবে? ২/ মেয়েদেৱ গলাৱ স্বৱ (আওয়াজ) নাকি সতৱেৱ অন্তর্ভুক্ত নয়? ৩। সূৱা ইখলাসেৱ যেই ফযীলাত বলা হয় যে, তিনবার পড়লে এক খতম কুৱআন খতম কৱাৱ ছাওয়াব পাওয়া যাবে তা কতটুকু সঠিক? আমি আমাৱ ক্ষুদ্র ইলম দিয়ে খুজেছি কোথাও পাইনি। যেমন.. তুহফাতুল আলমাঈ, ইলমী খুতুবাত, তাফসীৱে ইবনে কাসীৱ, মাৱেফুল কুৱআন (সংক্ষিপ্ত) তাওযীহুল কুৱআন ইত্যাদি। তাই সঠিক কোনটি তা হযৱতেৱ নিকট জানতে চাই? আল্লাহ তাআলা আপনার ইলম ও সময়েৱ মধ্যে বৱকত দান কৱুন।
উত্তর :১। কেউ কেউ ত্বহা নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের নাম বলে উল্লেখ করলেও এর কোন ভিত্তি খুঁজে পাওয়া যায় না। নির্ভরযোগ্য মত অনুযায়ী এটা হুরূফে মুকাত্তাআতের অন্তর্ভুক্ত। অবশ্য একটি ভাষারীতি অনুযায়ী এর অর্থ হল “হে লোক”। হাদীস শরীফে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম সুন্দর অর্থবহ নাম রাখতে বলেছেন। তাই এর দ্বারা কারো নাম না রাখাই শ্রেয়।–সুনানে আবূ দাউদ, হাদীস নং ৪৯৫০; মুসনাদে আহমাদ, হাদীস নং ২১৬৯৩; তুহফাতুল মাউদূদ, পৃষ্ঠা ৬৭; তাফসীরে ইবনে কাসীর, সূরা ত্বহা, আয়াত ১
২। নির্ভরযোগ্য মত অনুযায়ী তা সতরের অন্তর্ভুক্ত। এজন্যই (ক) নামাযে তারা উচ্চস্বরে তিলাওয়াত করলে নামায নষ্ট হয়ে যায় (খ) নামাযে লোকমার প্রয়োজন হলে তাদের মৌখিক আওয়াজের পরিবর্তে হাতে তালি দিতে বলা হয়েছে (গ) কুরআনে পুরুষদের সাথে মিষ্টস্বরে কথা বলতে নিষেধ করা হয়েছে।–সূরা আহযাব, আয়াত ৩২; রদ্দুল মুহতার ১/৪০৬; মাবসূতে সারাখসী ১/২৭৭
৩। হযরত আবূ হুরাইরা (রাঃ) থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ইরশাদ করেন-
قل هو الله أحد تعدل ثلث القرآن
অর্থঃ কুল হুওয়াল্ল-হু আহাদ (অর্থাৎ সূরা ইখলাছ) কুরআনের এক তৃতীয়াংশ।–সহীহ মুসলিম, হাদীস নং ১৯২৪; সুনানে তিরমিজী, হাদীস নং ২৮৯৪; সুনানে ইবনে মাজাহ, হাদীস নং ৩৭৮৭; মুসনাদে আহমাদ, হাদীস নং ৯৫৩৫
কাজেই কেউ তিনবার তা পড়লে এক খতমের ছাওয়াব পাবে ইংশাআল্লাহ।