প্রশ্ন : আসসালামু আলাইকুম, ১) ফরজ নাআসসালামু আলাইকুম, ১) ফরজ নামায পড়ার পরে দুআ ও যিকিরের সিরিয়াল কিভাবে করবো? যেমন ১। আয়াতুল কুরসী, ২. মুনাজাত, ৩. তাসবীহে ফাতেমী, ৪. সূরা ইখলাস, সূরা ফালাক, সূরা নাস। ২। জামাআতে নামায পড়ার সময় আয়তুল কুরসী অর্ধেক পড়তে না পড়তে মুনাজাত করে, তাহলে আয়াতুল কুরসী পড়া বাদ দিয়ে কি মুনাজাত ধরবো? ৩। আমি জানি মুনাজাত ধরা জরুরী নয়। কিন্তু ইমাম সাহেব মুনাজাত ধরে মনে মনে কিনা কি পড়ে ১০ সেকেন্ড পরেই মুনাজাত খতম করে দেয়। এতে আমি একাগ্রতাও পাই না মন থেকে কিছু বলবো তাও সময়ের কারনে পারি না। তাই ইমামে সাথে মুনাজাত না ধরে উপরোক্ত দুআ পড়লে কোন সমস্যা হবে কি?মায পড়ার পরে দুআ ও যিকিরের সিরিয়াল কিভাবে করবো? যেমন ১। আয়াতুল কুরসী, ২. মুনাজাত, ৩. তাসবীহে ফাতেমী, ৪. সূরা ইখলাস, সূরা ফালাক, সূরা নাস। ২। জামাআতে নামায পড়ার সময় আয়তুল কুরসী অর্ধেক পড়তে না পড়তে মুনাজাত করে, তাহলে আয়াতুল কুরসী পড়া বাদ দিয়ে কি মুনাজাত ধরবো? ৩। আমি জানি মুনাজাত ধরা জরুরী নয়। কিন্তু ইমাম সাহেব মুনাজাত ধরে মনে মনে কিনা কি পড়ে ১০ সেকেন্ড পরেই মুনাজাত খতম করে দেয়। এতে আমি একাগ্রতাও পাই না মন থেকে কিছু বলবো তাও সময়ের কারনে পারি না। তাই ইমামে সাথে মোনাজাত না ধরে উপরোক্ত দুআ পড়লে কোন সমস্যা হবে কি?
উত্তর :ওয়া আলাইকুমুস সালাম
১। ফরজ নামাযের পরে সুন্নাত থাকলে আগে সুন্নাত পড়ে তারপর যিকির-আযকার ও তাসবীহ পড়া উত্তম। আর উল্লেখিত আমলগুলোর মধ্যে আপনি যেটা ইচ্ছা আগে করতে পারেন।–সহীহ মুসলিম, হাদীস নং ১৩৬৩; সুনানে ইবনে মাজাহ, হাদীস নং ৯২৪; রদ্দুল মুহতার ১/৫৩১; বাদায়েউস সানায়ে ১/৩৯৩,৩৯৪।
২। কোন আমল শুরু করে থাকলে তা শেষ করাই উচিৎ হবে। তবে ফরজ নামাযের পরে সুন্নাত থাকলে সংক্ষিপ্ত দুআ শেষে সুন্নাত আদায়ের পর অজীফা আদায় করা উত্তম।
৩। না, কোন সমস্যা নেই। তবে ফরজ নামাযের পরে যেহেতু দুআ কবূল হয় তাই সংক্ষিপ্ত পরিসরে দুআ করলে ভালো।
উল্লেখ্য যে, ফরজ নামায শেষে সুন্নাত থেকে থাকলে ফরজ নামায পরবর্তী দুআ সংক্ষিপ্ত হওয়া কাম্য। আর ইমামের মুনাজাতের সাথে মুক্তাদীরও মুনাজাত শেষ করা জরুরী নয়। বরং মুক্তাদী তার প্রয়োজন অনুপাতে ইমামের পরেও চাইতে পারে।