প্রশ্ন : আসসালামু আলাইকুম (১) হায়েয বা নেফাস বন্ধ হওয়ার পর কিন্তু ফরয গোসলের পূর্বে সহবাস করা যাবে কি? (২) গেঞ্জিতে কুমির বা, অন্য কোন পশুর ছোট্ট একটি ছবি রয়েছে। এমতাবস্থায় উক্ত গেঞ্জির ওপর পাঞ্জাবী পড়ে নামায আদায় করা যাবে কি? বা যদি নামায পড়ে ফেলি নামায শুদ্ধ হবে কি?

উত্তর :

ওয়া আলাইকুমুস সালাম
১। হায়েয বা নেফাসের রক্ত যদি তার সর্বোচ্চ সীমায় (অর্থাৎ হায়েযের ক্ষেত্রে পূর্ণ ১০ দিন এবং নেফাসের ক্ষেত্রে পূর্ণ ৪০ দিন পর) বন্ধ হয় তবে রক্ত বন্ধ হওয়ার পরেই গোসল ব্যতীত সহবাস করা জায়েয। যদিও এমতাবস্থায় গোসল করে সহবাস করা মুস্থাহাব বা উত্তম।

আর যদি এর কমে তার পূর্ব অভ্যাস অনুযায়ী (যেমন ৫/৬ দিনে) রক্ত বন্ধ হয় তবে সহবাস জায়েয হওয়ার জন্য নিম্নোক্ত দুটি শর্তের একটি পাওয়া জরুরী।
(ক) হয়তোবা গোসল করবে
(খ) অথবা তার জিম্মায় কোন নামাযের ক্বাযা ফরজ হবে। আর নামাযের ক্বাযা তখনি ফরজ হয় যখন রক্ত বন্ধ হবার পর ওয়াক্ত শেষ হওয়ার পূর্বেই এতটুকু সময় পায় যে, সে গোসল করে কাপড় পরিধান করে তাকবীরে তাহরীমা বলে নামায শুরু করতে পারে। যেমন কোন মহিলার আসরের পূর্বে এমন সময় রক্ত বন্ধ হল যে, সে গোসল করে কাপড় পরিধান করে তাকবীরে তাহরীমা বলে নামায শুরু করার সময় পায়নি বরং এর পূর্বেই আসরের ওয়াক্ত শুরু হয়ে গিয়েছে তবে মাগরিবের পূর্বে (গোসল ব্যতীত) সহবাস করা জায়েয হবে না। কেননা উক্ত মহিলার জিম্মায় আসরের নামায ফরজ হয়নি।

আর যদি তার অভ্যাসের পূর্বেই রক্ত বন্ধ হয়ে যায় তবে অভ্যাসের দিন অতিবাহিত হওয়ার পূর্বে সহবাস করার অনুমতি নেই। যদিও সে সতর্কতামূলক নামায, রোযা চালিয়ে যাবে।–রদ্দুল মুহতার ১/২৯৪; ফাতাওয়া হিন্দিয়া ১/৩৯; ফাতাওয়া রহীমিয়া ৪/৪৫

২। গেঞ্জির উপর পরিহিত পাঞ্জাবী দ্বারা যদি উক্ত ছবি পরিপূর্ণভাবে ঢেকে যায় এবং পাঞ্জাবীর উপর থেকে তা বুঝা না যায় অথবা ছবি এত ছোট হয় যে তার কোন অঙ্গ প্রত্যঙ্গ বুঝা না যায় তবে নামায হয়ে যাবে।–আল বাহরুর রায়েক ২/৪৮; রদ্দুল মুহতার ১/৬৪৮

Loading