প্রশ্ন : আসসালামু আলাইকুম হযরত মুরগীর নাড়ি ভুড়ি ফেলে ড্রেসিং করবো নাকি নাড়ি ভুড়ি সহ ড্রেসিং করব। জানালে উপকৃত হব।
উত্তর :ড্রেসিং করার সময় যদি ফুটন্ত নাপাক পানিতে মুরগী এতটুকু সময় রেখে দেয় যে, নাপাকী মুরগীর গোস্তের ভিতরে ঢুকে যায় তবে তা খাওয়া হারাম। নাপাকি দুই ভাবে মুরগীর গোস্তের ভিতরে একাকার হতে পারে।
১। যে ফুটন্ত পানিতে মুরগী চুবানো হবে তা নাপাক হবে। আর সাধারণত উক্ত পানি নাপাক হয়েই থাকে। কেননা ব্রয়লার মুরগীর গায়ে নাপাকি (পায়খানা) লেগে থাকা একটি স্বতঃসিদ্ধ বিষয়। কাজেই যখন কোন মুরগী তাতে চুবানো হয় সাথে সাথেই উক্ত পানি নাপাক হয়ে যায়। আর ঐ পানিতে তারা একের পর এক মুরগী চুবাতে থাকে।
২। অথবা নাড়ি-ভুঁড়ি সহ মুরগী চুবানো হবে।
আর যদি সামান্য সময় রাখে (যাতে নাপাকী মুরগীর গোস্তের ভিতরে ঢুকে না) বা পানি ফুটন্ত না হয় তবে কোন অসুবিধা নেই। আমি যদ্দুর দেখেছি আমাদের দেশে ড্রেসিং এর সময় যতটুকু সময় পানিতে রাখে এতে নাপাকী মুরগীর গোস্তের ভিতরে ঢুকে না বরং চামড়ার বাইরের দিকে কিছুটা উষ্ণতা পৌঁছে মাত্র। এরপরেও যদি কোন দোকানদার নাপাকি গোস্তের ভিতরে পৌঁছা পরিমান সময় গরম পানিতে রেখে দেয় তবে তা খাওয়া বৈধ হবে না।
এক্ষেত্রে সবচেয়ে নিরাপদ ও উত্তম পদ্ধতি হল, হয় মুরগীর চামড়া ফেলে দেওয়া অথবা বাড়িতে এনে পশম ফেলার ব্যবস্থা করা।–রদ্দুল মুহতার ১/৩৩৪; হালবিয়ে কাবীর পৃষ্ঠা ২০৭; ফাতহুল কদীর ১/২১০।