প্রশ্ন : আসসালামু আলাইকুম হযরত আমার প্রশ্ন গুলো হলো:- ১/ সালাতুল তাসবীহ নামায কখন পড়া উত্তম? আর এই নামায পড়ার পদ্ধতি কি? ২/তাহাজ্জুদ নামায কয় রাকাআত পড়া যায় সর্বনিম্ন? আর পড়ার সহজ পদ্ধতি কোনটি? ৩/ইশার নামাযের সময় বিতির পড়ে কি দুই রাকাআত তাহাজ্জুদ এর নিয়তে পড়া যায়? রাতে উঠতে পারি কিনা এই আশঙ্কায় তখন পড়ে রাখা কি ঠিক হবে? ৪/সালাতুল হাজত নামায পড়ার পদ্ধতি কেমন? কখন ও কীভাবে পড়বে?
উত্তর :ওয়া আলাইকুমুস সালাম
১। জুমার দিন পড়া উত্তম। কেউ কেউ যাওয়ালের পরে পড়া উত্তম বলেছেন।–সুনানে আবূ দাউদ, হাদীস নং ১২৯৯; এহইয়ায়ে উলূমুদ্দীন ১/২১৪।
এই নামায পড়ার পদ্ধতি হল-
চার রাকাআতের নিয়ত বেঁধে ছানা পড়ে পনের বার سبحان الله والحمد لله ولا إله إلا الله والله أكبر এই তাসবীহ পড়বে। অতঃপর সূরা ফাতেহা ও অন্য একটি সূরা মিলিয়ে দশ বার উক্ত তাসবীহ পড়বে। অতঃপর রুকূতে গিয়ে রুকূর তাসবীহ পড়ে উক্ত তাসবীহ দশ বার পড়বে। এরপর রুকূ থেকে দাড়িয়ে রব্বানা লাকাল হামদ বলে দশ বার উক্ত তাসবীহ পড়বে। অতঃপর উভয় সিজদায় সিজদার তাসবীহ পড়ে উক্ত তাসবীহ দশ বার পড়বে এবং উভয় সিজদার মাঝখানেও দশ বার পড়বে। এভাবে এক রাকাআতে মোট পঁচাত্তর বার হবে। বাকি তিন রাকাআতও উক্ত নিয়মে পড়ে নিবে। চার রাকাআতে উক্ত তাসবীহ মোট তিনশত বার হবে। এছাড়াও এর ভিন্ন আরো একটি পদ্ধতি রয়েছে।–সুনানে তিরমিজী, হাদীস নং ৪৮১
২। সর্বনিম্ন দুই রাকাআত পড়লেও তাহাজ্জুদের ছাওয়াব পাওয়া যায়। তবে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম সাধারণত আট রাকাআত পড়তেন। এ নামাযের আলাদা কোন নিয়ম নেই। অন্য নফল নামাযের মতই।–সহীহুল বুখারী, হাদীস নং ১১৪৭; ফাতওয়ায়ে দারুল উলূম দেওবন্দ ৪/২২৫
৩। হ্যাঁ, যায়। এতে তাহাজ্জুদের ছাওয়াব পাওয়া যাবে ইংশাআল্লাহ ।-তাবারানী, আল মুজামুল কাবীর, হাদীস নং ৭৮৭; ফাতওয়ায়ে দারুল উলূম দেওবন্দ ৪/২২৩।
৪। অন্য নফল নামাযের মতই দুই রাকাআত পড়ে আল্লাহ তাআলার নিকট নির্দিষ্ট মাকসাদ হাছিলের জন্য বা পেরেশানির জন্য দুআ করবে। আর এ নামায যে কোন সময় পড়া যায়।