প্রশ্ন : আসসালামু আলাইকুম। সম্মানিত মুফতী সাহেব রোযাদারকে ইফতার করানোর ফজীলত জানতে চাই?

উত্তর :

ওয়া আলাইকুমুস সালাম
হযরত সালমান (রাঃ) থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্ললাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন-
من فطر فيه صائما كان مغفرة لذنوبه و عتق رقبته من النار و كان له مثل أجره منغير أن ينتقص من أجره شيء قالوا ليس كلنا نجد ما يفطر الصائم فقال : يعطي الله هذا الثواب من فطر صائما على تمرة أو شربة ماء أو مذقة لبن ومن أشبع صائما سقاه الله من حوضي شربة لا يظمأ حتى يدخل الجنة
অর্থঃ যে ব্যক্তি এ (রমযান) মাসে কোনো রোযাদারকে ইফতার করাবে, এটা তার গুনাহ মাফের কারণ হবে এবং তাকে জাহান্নাম থেকে মুক্তি দেওয়া হবে। আর রোযাদারের সমপরিমাণ নেকি তাকে দান করা হবে অথচ রোযাদারের প্রাপ্য নেকি একটুও কমানো হবে না। সাহাবাগণ আরজ করলেন, হে আল্লাহর রাসূল! আমাদের মধ্যে সকলের তো রোযাদারকে ইফতার করানোর মতো সংগতি নেই! রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্ললাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বললেন, যে কেউ কোনো রোযাদারকে একটি মাত্র খেজুর দিয়ে বা পানি পান করিয়ে অথবা এক ঢোক দুধ দিয়ে ইফতার করাবে, মহান আল্লাহ তাকে এই সওয়াব দান করবেন। আর যে কোনো রোযাদারকে পরিতৃপ্ত করে খাওয়াবে, মহান আল্লাহ তাকে কিয়ামতের দিন আমার হাউস থেকে এমন শরবত পান করাবেন, জান্নাতে প্রবেশের আগে তার আর পিপাসা লাগবে না।-সহীহ ইবনে খুযাইমা, হাদীস নং ১৮৮৭; বায়হাকি, শুআবুল ইমান, হাদীস নং ৩৬০৮

Loading