প্রশ্ন : ১। এমন গুনাহ যে, কখনো কেউ করেনি খুব খারাপ গুনাহ এর পর কি করা লাগবে? ২। অতি আগ্রহে কাউকে সিজদা করলে কি করতে হবে? ৩। বুকের উপর হাত বাঁধা জায়েয কিনা?

উত্তর :

১। আল্লাহ তাআলার নিকট খালেছভাবে তাওবা করলে আল্লাহ তাআলা মাফ করে দিবেন ইংশাআল্লাহ। আর বান্দার কোন হক নষ্ট করে থাকলে তাওবার পাশাপাশি বান্দার হকও আদায় করতে হবে।
২। সিজদাহ যদি সন্মানের কারনে করা হয় তবে তা হারাম। আর ইবাদাতের নিয়তে করা হলে শিরক। উভয় অবস্থায় খালেছভাবে তাওবা করা জরুরী। শরীয়াতে আল্লাহ তাআলা ব্যতীত অন্য কাউকে কোন অবস্থাতেই সিজদাহ করা জায়েয নেই।–জামে তিরমিজী, হাদীস নং ১১৫৯; রূহুল মাআনী ১/২২৮; আলবাহরুর রায়েক ৮/৩৬৪
৩। সুন্নাতের পরিপন্থী। বুকের উপর হাত বাঁধা সংক্রান্ত যে হাদীসগুলো পেশ করা হয় তার কোনটিই সহীহ নয়। চার ইমামের কেউই বুকের উপর হাত বাঁধাকে সুন্নাত বলেননি। কোন হাদীসের কিতাবেও এ সংক্রান্ত কোন শিরোনাম কেউ কায়েম করেননি। বরং নামাযে নাভির নীচে হাত বাঁধা সুন্নাত। এ ব্যাপারে একাধিক সহীহ হাদীস রয়েছে। হযরত ওয়ায়েল ইবনে হুজর (রাঃ) থেকে বর্ণিত-
رأیت النبی ۔صلى الله عليه وسلم۔ وضع یمینہ علی شمالہ فی الصلاة تحت السرة
অর্থঃ আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে নামাযের মধ্যে ডান হাতকে বাম হাতের উপর নাভির নীচে হাত বাঁধতে দেখেছি।–মুসান্নাফে ইবনে আবী শাইবা, হাদীস নং ৩৯৫৯
হাদীসটির সনদ সহীহ।
হযরত আবূ জুহাইফাহ (রাঃ) বলেন-
أن علیاؓ قال إن من السنۃ فی الصلاة وضع الأکف علی الأکف فی الصلاة تحت السرة
অর্থঃ হযরত আলী (রাঃ) বলেন, নামাযে (হাত বাঁধার মধ্যে) সুন্নাত হল ডান হাতকে বাম হাতের উপর নাভির নীচে রাখা।–সুনানে আবূ দাউদ, হাদীস নং ৭৫৬; মুসনাদে আহমাদ, হাদীস নং ৮৭৫

Loading