প্রশ্ন : আসসালামু আলাইকুম, ১। হজরত আমরা যখন মুসলমানের সাথে কথা বলি তো সালাম পেশ করে কথা বলি। ইহা কি সব মিডিয়াতে (যেমন: সেমিনার-মাহফিল-টিভি-রেডিও-মেসেঞ্জার ইত্যাদি) পেশ করা জরুরী যেখানে সালামের উত্তরদাতা স্বয়ং উপস্থিত থাকেন না? মিডিয়ায় সালাম শুনলে জওয়াব কিভাবে দিব এবং তা পৌছাবেই বা কি করে? কেউ যদি মুখে না বলে লিখে সালাম দেয় যা মেসেঞ্জার বা সোশ্যাল মিডিয়াতে খুব হচ্ছে, তা কি লিখেই জওয়াব দিতে হবে? এবং দেয়াটা কি ওয়াজিব বা জরুরী কিনা? ২। যেখানে সালাম পেশকারী (বক্তা কোন মাহফিলে, সেমিনারে) একজন উত্তরদাতা অনেকজন (শ্রোতা), সেখানে উত্তর কি সবাইকে দিতে হবে অথবা আদায় করার তরীকা কি? ৩। সালামের সাথে ‘Good Morning’ একইসাথে পেশ করা হয়, ইহা কি জায়েয? এমনটি করা পছন্দনীয় না হলে, তার স্বপক্ষে কি কোন দলীল আছে?

উত্তর :

ওয়া আলাইকুমুস সালাম
১। মিডিয়াতে কোন কিছু প্রচার বা পৌঁছানোর উদ্দেশ্যে কিছু বলার পূর্বেও সালাম দেওয়া উচিত এবং আদাব। তবে সরাসরি সম্প্রচার না হলে শ্রোতাদের জন্য তার জবাব দেওয়া ওয়াজিব নয়। আর সরাসরি সম্প্রচার হলে সেক্ষেত্রে জবাব দেওয়া কর্তব্য। তবে তা সালামদাতাকে শুনিয়ে দেওয়া জরুরী নয়।
অনুরূপভাবে চিঠি বা সোশ্যাল মিডিয়ায় (যেমন মেসেঞ্জার, ফেসবুক, টুইটার, ইমো, ওয়াটসঅ্যাপ ইত্যাদি) সালাম দিলে তার জবাবও দেওয়া ওয়াজিব। এই জবাব পত্রের মাধ্যমে লিখিতভাবে বা সোশ্যাল মিডিয়ায় অথবা সরাসরি মৌখিকভাবে হতে পারে। এমন নয় যে, পত্রের জবাব কেবল পত্রের মাধ্যমেই অথবা সোশ্যাল মিডিয়ার জবাব কেবল সোশ্যাল মিডিয়ায় দিতে হবে।- ফাতাওয়া মাহমূদিয়া ১৯/৮৪, ৮৫
২। একজন উত্তর দিলেই সবার পক্ষ থেকে আদায় হয়ে যাবে।
৩। অমুসলিম ও বিজাতীয়দের সংস্কৃতি। আমাদের রাসূল তো আমাদের সংস্কৃতি আমাদেরকে বুঝিয়ে দিয়েছেন। তাদেরটা গ্রহন করা কি প্রয়োজন? আচ্ছা তারা কি আমাদেরটা গ্রহন করেছে? রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ইরশাদ করেন-
مَنْ تَشَبَّهَ بِقَوْمٍ فَهُوَ مِنْهُمْ
অর্থঃ যে ব্যক্তি যে জাতীর সাথে সাদৃশ্যতা অবলম্বন করবে সে তাদের মধ্যে গণ্য হবে।–সুনানে আবূ দাউদ, হাদীস নং ৪০৩৩
অন্য হাদীসে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ইরশাদ করেন-
خالفوا اليهود والنصارى
অর্থঃ তোমরা ইয়াহূদী ও নাসারাদের বিরোধিতা কর।–সহীহ ইবনে হিব্বান, হাদীস নং ২১৮৬
তাই তাদের কালচার ও সংস্কৃতি থেকে বেঁচে থাকা জরুরী। তবে কোন অমুসলিমকে যদি অভিবাদন জানাতেই হয় সেখেত্রে একান্ত অপারগতায় অথবা তাদের অনিষ্ঠতা থেকে বাঁচার জন্য উক্ত বাক্যগুলো বলা যেতে পারে। অন্যথায় কেমন আছেন(?), ভালো আছেন(?) ইত্যাদি বলাই উচিত।

Loading