নামাযের ফরজ ১৩টি
নামাযের বাইরে ফরজ ৭টি
১। শরীর পাক হওয়া। (সূরা মায়েদাহ ,আয়াত ৬; সহীহ মুসলিম, হাদীস নং ৫৫৭)
২। কাপড় পাক হওয়া। (সূরা মুদ্দাছছির, আয়াত ৪; সহীহুল বুখারী, হাদীস নং ২৩০)
৩। নামাযের জায়গা পাক হওয়া। (সূরা বাক্বারাহ, আয়াত ১২৫; সহীহুল বুখারী, হাদীস নং ২১৯)
৪। সতর ঢাকা। (পুরুষদের জন্য নাভী থেকে হাটুর নীচ পর্যন্ত এবং মহিলাদের জন্য চেহারা, উভয় হাত কজ্বি পর্যন্ত এবং পায়ের পাতা ব্যতীত সমস্ত শরীর ঢেকে রাখা)। (মুসনাদে আহমাদ, হাদীস নং ৬৭৫৬; সুনানে বাইহাক্বী, হাদীস নং ৩৩২৬-৩৩৩৮)
৫। ক্বিবলামুখী হওয়া। (সূরা বাকারাহ, আয়াত ১৪৪; সহীহুল বুখারী, হাদীস নং ৩৯৮)
৬। ওয়াক্তমত নামায পড়া। (সূরা নিসা, আয়াত ১০৩; সুনানে আবূ দাউদ, হাদীস নং ৩৯৩)
৭। নিয়ত করা। অর্থাৎ মনের মধ্যে নির্দিষ্ট নামাযের ধ্যান ও খেয়াল সৃষ্টি করা। (সহীহুল বুখারী, হাদীস নং ১; সহীহ মুসলিম, হাদীস নং ৫০৩৬)
নামাযে ভিতরের ফরজ ৬টি
১। তাকরীরে তাহরীমা (আল্লাহু আকবার) বলা। (সূরা মুদ্দাছছির, আয়াত ৩; সুনানে আবূ দাউদ, হাদীস নং ৬১)
২। ফরজ ও ওয়াজিব নামায দাঁড়িয়ে পড়া। (সূরা বাক্বারাহ, আয়াত ২৩৮; সহীহুল বুখারী, হাদীস নং ১১১৭)
৩। ক্বিরাআত পড়া। (সূরা মুজ্জাম্মিল, আয়াত ২০; সুনানে তিরমিজী, হাদীস নং ২৩৮)
৪। রুকু করা। (সূরা হজ্ব, আয়াত ৭৭; সহীহুল বুখারী, হাদীস নং ৭৪২)
৫। দুই সিজদাহ করা। (সূরা হজ্ব, আয়াত ৭৭; সহীহুল বুখারী, হাদীস নং ৭৪২)
৬। শেষ বৈঠক করে নিজস্ব কোন কাজের মাধ্যমে নামায থেকে বের হওয়া। উভয়টি ফরজ। {সুনানে তিরমিজী, হাদীস নং ৪০৮; সুনানে বাইহাক্বী, হাদীস নং ২৯৩৮; আদ্দুররুল মুখতার ২/১৩৭ (যাকারিয়া); আল বাহরুর রায়েক ১/৫১৩}