প্রশ্ন : সূরা ওয়াকিয়াহ ও সূরা মূলক এর গুরুত্ব ও ফজিলত সম্পর্কে একটু বলবেন?

উত্তর :

উক্ত সূরাদ্বয়ের হাদীস শরীফে বেশ কিছু ফযীলাত পাওয়া যায়। নিম্নে দুএকটি উল্লেখ করা হল।
عن ابن مسعود قال سمعت رسول الله صلى الله عليه و سلم يقول : من قرأ سورة الواقعة في كل ليلة لم يصبه فاقه
অর্থঃ হযরত ইবনে মাসউদ (রাঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে বলতে শুনেছি, যে ব্যক্তি প্রতি রাতে সূরা ওয়াকিয়া পড়বে তাকে দারিদ্রতা স্পর্শ করবে না।–বাইহাকী, শুআবুল ঈমান, হাদীস নং ২৪৯৮
عن أبي هريرة عن النبي صلى الله عليه و سلم قال إن سورة من القرآن ثلاثون آية شفعت لرجل حتى غفر له وهي سورة تبارك الذي بيده الملك

অর্থঃ হযরত আবূ হুরাইরা (রাঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম থেকে বর্ণনা করেন, নিশ্চয়ই কুরআনে তিরিশ আয়াত বিশিষ্ট একটি সূরা রয়েছে যেটা (তার তিলাওয়াতকারীর জন্য) সুপারিশ করবে। এমনকি (তার সুপারিশের দরুন) তাকে মাফ করে দেওয়া হবে। আর সেটা হল সূরা “তাবারাকাল্লাজী বিয়াদিহিল মুলক”।–সুনানে তিরমিজী, হাদীস নং ২৮৯১
অন্য রেওয়ায়েতে রয়েছে-
قال رسول الله صلى الله عليه و سلم هي المانعة هي المنجية تنجيه من عذاب القبر
অর্থঃ রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ইরশাদ করেন, তা-ই (অর্থাৎ সূরা মুলকই) বাধাদানকারী। তা-ই মুক্তি দানকারী। তা (তিলাওয়াতকারীকে) কবরের আযাব থেকে মুক্তি দান করবে।–সুনানে তিরমিজী, হাদীস নং ২৮৯০

Loading