প্রশ্ন : আসসালামু আলাইকুম ১। আমি ছোট বেলায় মক্তবে পড়ার সময় হুজুর কুরআন শরীফের “আনা” শব্দটা এক আলিফ করে টানতে নিষেধ করেছিলেন, কিন্তু ভূলে গেছি সব জায়গায়ই নাকি নির্দিষ্ট কিছু জায়গায় ? ২। কোরআনে এরকম আনকমন (সাধারণ কোরআন পড়নেওয়ালারা জানে না) কিছু নোট দিলে কোরআন শুদ্ধভাবে পড়তে সহায়ক হতো ?
উত্তর :ওয়া আলাইকুমুস সালাম
১। কুরআনের নিম্নোক্ত শব্দগুলোতে انا শব্দটি টেনে পড়তে হবে।
وَأَنَابُوا, أَنَابَ , الْأَنَامِلَ , َأَنَاسِيَّ, لِلْأَنَامِ
আপনার সুবিধার্থে আমি আয়াতগুলোও দিয়ে দিলাম। আর انا শব্দটি মোটা করে চিহ্নিত করে দিলাম।
هَا أَنْتُمْ أُولَاءِ تُحِبُّونَهُمْ وَلَا يُحِبُّونَكُمْ وَتُؤْمِنُونَ بِالْكِتَابِ كُلِّهِ وَإِذَا لَقُوكُمْ قَالُوا آمَنَّا وَإِذَا خَلَوْا عَضُّوا عَلَيْكُمُ الْأَنَامِلَ مِنَ الْغَيْظِ قُلْ مُوتُوا بِغَيْظِكُمْ إِنَّ اللَّهَ عَلِيمٌ بِذَاتِ الصُّدُورِ
-সূরা আল ইমরান, আয়াত ১১৯
وَيَقُولُ الَّذِينَ كَفَرُوا لَوْلَا أُنْزِلَ عَلَيْهِ آيَةٌ مِنْ رَبِّهِ قُلْ إِنَّ اللَّهَ يُضِلُّ مَنْ يَشَاءُ وَيَهْدِي إِلَيْهِ مَنْ أَنَابَ
-সূরা রাদ, আয়াত ২৭
لِنُحْيِيَ بِهِ بَلْدَةً مَيْتًا وَنُسْقِيَهُ مِمَّا خَلَقْنَا أَنْعَامًا وَأَنَاسِيَّ كَثِيرًا
-সূরা ফুরকান, আয়াত ৪৯
وَإِنْ جَاهَدَاكَ عَلَى أَنْ تُشْرِكَ بِي مَا لَيْسَ لَكَ بِهِ عِلْمٌ فَلَا تُطِعْهُمَا وَصَاحِبْهُمَا فِي الدُّنْيَا مَعْرُوفًا وَاتَّبِعْ سَبِيلَ مَنْ أَنَابَ إِلَيَّ ثُمَّ إِلَيَّ مَرْجِعُكُمْ فَأُنَبِّئُكُمْ بِمَا كُنْتُمْ تَعْمَلُونَ
-সূরা লোকমান, আয়াত ১৫
قَالَ لَقَدْ ظَلَمَكَ بِسُؤَالِ نَعْجَتِكَ إِلَى نِعَاجِهِ وَإِنَّ كَثِيرًا مِنَ الْخُلَطَاءِ لَيَبْغِي بَعْضُهُمْ عَلَى بَعْضٍ إِلَّا الَّذِينَ آمَنُوا وَعَمِلُوا الصَّالِحَاتِ وَقَلِيلٌ مَا هُمْ وَظَنَّ دَاوُودُ أَنَّمَا فَتَنَّاهُ فَاسْتَغْفَرَ رَبَّهُ وَخَرَّ رَاكِعًا وَأَنَابَ
-সূরা ছোয়াদ, আয়াত ২৪
وَلَقَدْ فَتَنَّا سُلَيْمَانَ وَأَلْقَيْنَا عَلَى كُرْسِيِّهِ جَسَدًا ثُمَّ أَنَابَ
-সূরা ছোয়াদ, আয়াত ৩৪
وَالَّذِينَ اجْتَنَبُوا الطَّاغُوتَ أَنْ يَعْبُدُوهَا وَأَنَابُوا إِلَى اللَّهِ لَهُمُ الْبُشْرَى فَبَشِّرْ عِبَادِ
-সূরা যুমার, আয়াত ১৭
وَالْأَرْضَ وَضَعَهَا لِلْأَنَامِ
সূরা রহমান, আয়াত ১০
অন্যান্য “আনা” শব্দে মাদ (টান) হবে না।
২। এভাবে কয়টা কায়েদাহ বলব। সঠিক ও সর্বোত্তম পদ্ধতি হল বিজ্ঞ কোন ক্বারীর নিকট গিয়ে মশক করে বুঝে নেওয়া।