প্রশ্ন : আসসালামু আলাইকুম ১। হুজুর ভাগিনা বউ যদি মামা শশুরকে আব্বা করে ডাকে তবে তা জায়েয হবে কি? ২। হুজুর অনেক সময় আঠা দিয়ে কাজ করি। কাজ করার সময় আঠা যেমন সুপার গ্লু হাতে লেগে গেলে তা উঠানো যায় না। খুব কষ্ট হয়। এক্ষেত্রে কি করণীয়? যদি আঠা উঠাই এর পরেও কিছু কিছু লেগে থাকে যা বুঝা যায় না। এ ব্যাপারে কি করণীয়? ৩। এছাড়া পরে অনেক সময় দেখা যায় দুই তিন ওয়াক্ত নামাযের পর হয়তো হাতের বা পায়ের নিচে অর্থাৎ উযূর স্থানে সামান্য লেগেছিল যা মরা চামরার মত বেরিয়ে আসে যেটা আমি পূর্বে দেখি নাই। এখন এই নামায গুলো কি করবো যেগুলো পড়ে ফেলেছি? আমি যখনি আঠা দিয়ে কোন কাজ করি অধিকাংশ সময়ই এই সমস্যা সম্মুখীন হই। অনুগ্রহ করে এর সঠিক সমাধান চাই। জাযাকাল্লাহু খাইরাইন।

উত্তর :

ওয়া আলাইকুমুস সালাম
১। আমাদের দেশে শ্বশুরকে আব্বা বলে ডাকার প্রচলন রয়েছে। কোন কোন জায়গায় চাচা শ্বশুর বা মামা শ্বশুরকেউ আব্বা বলে ডাকার রেওয়াজ রয়েছে। এটা মুলত পরিপূর্ণ শ্রদ্ধা ও সম্পর্কের ঘনিষ্ঠতা বুঝানোর জন্য বলা হয়। যা মূলত জায়েয। তবে এর দ্বারা যদি নিজ পিতৃপরিচয় গোপন করে তাদের দিকে বংশের নিসবত করা হয় তবে তা নাজায়েয হবে।–সহীহুল বুখারী, হাদীস নং ৬৭৬৬; সুনানে তিরমিজী, হাদীস নং ১৯১৯

২। আঠা বা এজাতীয় জিনিসের মধ্যে যেগুলো চামড়ায় পানি পৌঁছতে বাঁধা দেয় সেগুলো উযূর সময় ততটুকুই উঠানো জরুরী যতটুকু উঠানোতে কোন ক্ষতি না হয়। তেল পানি ইত্যাদি দ্বারা স্বাভাবিকভাবে যতটুকু সম্ভব উঠাবে। চাকু ইত্যাদি দ্বারা খুঁচিয়ে খুঁচিয়ে উঠানো জরুরী নয়। স্বাভাবিকভাবে যতটুকু সম্ভব উঠানোর পর কিছু লেগে থাকলে কোন অসুবিধা নেই।-হাশিয়ায়ে তাহতাবী ১/৪১; ইমদাদুল আহকাম ৩৪৫

৩। যদি উক্ত আঠা এমন হয় যে, চামড়ায় পানি পৌঁছতে বাঁধা দেয় এবং স্বাভাবিকভাবে উঠানো সম্ভব হয় তবে তা লেগে থাকার দরুন উযূ সহীহ হয়নি। ফলে উক্ত উযূ দ্বারা যে নামাযগুলো পড়া হয়েছিল তা দোহরিয়ে নিবে। আর যদি উক্ত আঠা চামড়ায় পানি পৌঁছতে বাঁধা না দেয় অথবা বাঁধা দেয় কিন্তু তা ক্ষতি ছাড়া উঠানো সম্ভব না হয় কিংবা যতটুকু স্বাভাবিকভাবে উঠানো সম্ভব তা উঠে গিয়েছিল তবে উক্ত উযূ দ্বারা যে নামাযগুলো পড়া হয়েছে তা সহীহ হয়েছে।-প্রাগুক্ত

Loading