প্রশ্ন : আসসালামু আলাইকুম বিদেশে মহিলাদের নামাযের জন্য ব্যবস্থা অছে, তাবলীগের কিছু বড় ভাই আমাকে বললেন ইসলামে নাকি মহিলাদের মসজিদে গিয়ে নামায পরা নিরুত্সাহিত করা হয়েছে। হযরত আলী (রাদি:) নাকি মহিলাদের মসজিদে নামায অদায় করতে নিরুত্সাহিত করেছেন, বিষয়টা বিস্তারিত বলবেন কি? অমি আমার মেয়ে ও স্ত্রীকে নিয়ে সুযোগ পেলে মসজিদে নামায অদায় করতে যাই। মুসাল্লা বেশিরভাগ সময় বন্ধ পাই। সে বিসয়ে তাবলীগের আমীরকে অবহিত করলে উনি আমাকে বলেন ইসলামে মেয়েদের মসজিদে আসতে নিরুত্সাহিত করা হয়েছে। তাই তাবলীগের ভায়েরা স্ত্রীদের নামাযের জন্য নিয়ে আসেন না এবং এ বিষয়ে অনুরোধ করা ঠিক না। তবে কেউ যদি আসতে চায় আসতে পারে, দুটোই ঠিক আছে। বিষয়টা কত টুকু সত্য? বুঝিয়ে বলবেন কি বিস্তারিত

উত্তর :

ওয়া আলাইকুমুস সালাম
মহিলাদের জন্য মসজিদে গমন করা মাকরূহে তাহরীমী।
হযরত আবূ হুমাইদ (রাঃ) এর স্ত্রী রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর নিকট এসে বললেন ইয়া রাসূলাল্লাহ আমি আপনার সাথে নামায পড়তে পসন্দ করি। অতঃপর তিনি বললেন, আমি জানি তুমি আমার সাথে নামায পড়তে পসন্দ কর তবে (শোন) তোমার খাছ কামরায় নামায পড়া তোমার ঘরে নামায পড়ার চেয়ে উত্তম। আর তোমার ঘরে নামায পড়া তোমার স্থানীয় মসজিদে নামায পড়ার চেয়ে উত্তম।আর তোমার স্থানীয় মসজিদে নামায পড়া আমার মসজিদে নামায পড়ার চেয়ে উত্তম। অতঃপর তার ঘরের ভিতরে অন্ধকার কুঠরির মধ্যে নামাযের স্থান নির্দিষ্ট করে দেওয়া হয়। তিনি মৃত্যু পর্যন্ত সেখানেই নামায আদায় করতেন। -সহীহ ইবনে হিব্বান, হাদীস নং ২২১৭; সহীহ ইবনে খুযাইমাহ, হাদীস নং ১৬৮৯; মুসনাদে আহমাদ, হাদীস নং ২৭০৯০

হযরত আয়েশা (রাঃ) বলেন যদি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম দেখতেন মহিলারা তার মৃত্যুর পরে যে অবস্থার সৃষ্টি করেছেন তবে তিনি অবশ্যই তাদের মসজিদে যেতে বাধা দিতেন যেমনটি বনী ইসরাঈলের মহিলাদেরকে নিষেধ করা হয়েছিল।–সহীহ মুসলিম, হাদীস নং ১০২৭; সহীহুল বুখারী, হাদীস নং ৮৬৯

Loading