প্রশ্ন : 1 . zakaater bishoye j fatua deya hoyeche tar ekti ongsho holo ‘”shorner shathe 1 tk thakleo tate jakat rupar mulle dite hobe”‘ ekhon protidin baire gele bus vara ba rickshaw vara babod j tk thake baa bus, rickshaw te jatayater khorocher jonno j taka gocchito rakha hoy shei taka o ki oi shorner shathe hishab kore rupar mulle jakat dite hobe…?? jehetu 7.5 vori shorno nai .. janale khub upokar hobe… jazakallahu khairan…
উত্তর :আপনি বছরের যে আরবী তারিখে যাকাত হিসাব করবেন ঐ দিন যদি সাত ভরি স্বর্ণের সাথে সামান্য রূপা বা কোন টাকা(যে পারপাসেই থাকুক না কেন) থাকে তবে যাকাত ফরজ হবে। আর যদি(হিসাবের দিন) শুধু সাত ভরি সোনাই থাকে তবে আপনি নেসাবের মালিক না হওয়ার জন্য আপনার উপর যাকাত ফরজ হবে না।–আদ্দুররুল মুখতার ২/২৫৯; মারাকিল ফালাহ পৃষ্ঠা নং ৭১৪।
নিম্নোক্ত মাসআলাগুলো দেখলে আশা করি বিষয়টি আরো স্পষ্ট হবে।
মাসআলাঃ যাকাতের অর্থবছর চান্দ্র মাস হিসেবে নির্ধারণ হবে। ধরা যাক কেউ রজব মাসের ৫ তারিখে নেসাবের মালিক হল। তাহলে আগামী বছর রজবের ৪ তারিখে তার বছর পূর্ণ হবে। ঐ দিন তার নিকট যে সম্পদ থাকবে তার যাকাত আদায় করবে।
মাসআলাঃ যাকাত ফরজ হওয়ার জন্য শর্ত হল বছরের শুরু ও শেষে নেসাব পরিমান সম্পদ থাকতে হবে। উপরে উল্লেখিত তারিখ অনুযায়ী রজবের ৫ তারিখে তো তার নিকট নেসাব পরিমান সম্পদ থাকবেই। যাকাত ফরজ হওয়ার জন্য পরের বছর রজবের চার তারিখে তার নিকট কমপক্ষে নেসাব পরিমান সম্পদ থাকতে হবে। যদি না থাকে তবে তার উপরে যাকাত ফরজ হবে না। নতুন ভাবে যেদিন নেসাবের মালিক হবে সেদিন থেকে নতুন করে বছর শুরু হবে।
মাসআলাঃ যাকাত ফরজ হওয়ার জন্য বছরের শুরু ও শেষে নেসাব পরিমান মাল থাকা যথেষ্ট। মাঝখানে যদি মাল কমে যায় এমনকি নেসাব থেকে কমে গেলেও যাকাত ফরজ থাকবে। তবে যদি মাঝখানে পুরো সম্পদ নষ্ট হয়ে যায়, তার কাছে কোন সম্পদ না থাকে তাহলে পূর্বের হিসাব বাতিল হবে। আবার যখন নেসাবের মালিক হবে নতুন করে হিসাব ধরা হবে।
মাসআলাঃ প্রতিটি মালের উপর বছর পুরা হওয়া জরুরী নয়। বরং যেদিন সে নেসাবের মালিক হবে ঐ দিন থেকে এক বছর পূর্ণ হওয়ার পরই তার নিকট থাকা সকল সম্পদের যাকাত দিতে হবে। যদি বছর পূর্ণ হওয়ার মাত্র দুদিন আগে তার নিকট দশ লক্ষ টাকা আসে তবে ঐ দশ লক্ষ টাকার যাকাত দিতে হবে। অথচ ঐ টাকা তার নিকট এক বছর থাকেনি। বরং মাত্র দুই দিন ছিল। অনুরুপভাবে নেসাবের বছর পূর্ণ হওয়ার দু দিন আগে যদি তার থেকে দশ লক্ষ টাকা খোয়া যায় তবে ঐ দশ লক্ষ টাকার যাকাত দিতে হবে না। মোটকথা বছরের মাঝে যা আসে ও চলে যায় তা ধর্তব্য হবে না। বরং বছরের শেষের সম্পদ হিসাব করা হবে।
মাসআলাঃ যাকাত হিসাব করে আদায় করা জরুরী। যে দিন বছর পূর্ণ হবে সেদিন তার যাকাতযোগ্য সকল সম্পদ হিসাব করবে। ব্যবসা থাকলে তার সকল স্টক মিলাবে। অতঃপর শতকরা আড়াই পার্সেন্ট হারে যাকাত আদায় করবে। ধারনা বা আন্দাজ করে যাকাত দিবে না।
মাসআলাঃ যাকাতের হিসাবের ক্ষেত্রে চান্দ্রমাস অনুযায়ী হিসাব করতে হবে। প্রথম যে দিন সে নেসাবের মালিক হবে তা লিখে রাখবে। যেমন কেউ রজবের ৫ তারিখে নেসাবের মালিক হলে পরের বছর রজবের ৪ তারিখে যাকাত আদায় করবে। কিন্তু অধিকাংশ মানুষই সে কোনদিন নেসাবের মালিক হয়েছে তার হিসাব রাখে না। বরং খেয়াল খুশী মত আদায় করতে থাকে। এভাবে যাকাত আদায় করা জায়েয নয়। বরং যে নেসাবের মালিক কবে হয়েছিল তা জানে না, সে এখন থেকে তার হিসাব করা সহজ হয় এমন একটি আরবী তারিখ নির্ধারণ করে নিবে। এরপর থেকে সে ঐ তারিখেই যাকাত হিসাব করবে। ইচ্ছা করলে রমযানেও সে তারিখটি নির্ধারণ করতে পারে। এমতবস্থায় সে এস্তেগফার করবে এবং সতর্কতামূলক কিছু বেশি আদায় করবে। আর নেসাবের মালিক হওয়ার দিনটি স্পষ্ট জানা থাকলে ঐ তারিখ পরিবর্তন করা জায়েয নেই।