প্রশ্ন : আসসালামু আলাইকুম, মুহতারাম….আমার প্রশ্ন….(আপনি চালাক আপনি চতুর) এই কথাটি আমি আমার স্ত্রীকে তোতলানো ভাবে দুইবার বলেছি, অর্থাৎ চ এর পরিবর্তে ত বলি, (আমনে তালাক আমনে ততুর)। এখানে আমার স্ত্রীকে তালাক দেয়ার কোনো নিয়ত আমার ছিল না। উদ্দেশ্য ছিল চালাক ও চতুর বলা। উপরের বর্ণিত এই অবস্থায় মুখে বাক্যটি উচ্চারণ করার কারণে কি তালাক হয়েছে?

উত্তর :

ওয়া আলাইকুমুস সালাম
তালাক খুব স্পর্শকাতর একটি বিষয়। কেউ যদি তার স্ত্রীকে সম্বোধন করে তালাক শব্দ উচ্চারণ করে তবে সাথে সাথেই তালাক পতিত হয়ে যাবে। চাই সে তালাক দেয়ার নিয়ত না করুক বা ভুলে বলে ফেলুক। কেননা স্পষ্টভাবে তালাক শব্দটি ইচ্ছা বা নিয়তের সাথে সম্পৃক্ত না। তাই উল্লেখিত সূরতে যেহেতু আপনি আপনার স্ত্রীকে (আমনে তালাক আমনে ততুর) বাক্যটি দুবার বলেছেন, সেহেতু আপনার স্ত্রীর উপর দুটি তালাক পতিত হয়ে গেছে। আপনি যদি তার ইদ্দতের মধ্যে (অর্থাৎ তিন হায়েয পার হবার পূর্বে) স্বামী-স্ত্রী সুলভ আচরণ করে থাকেন বা মৌখিকভাবে ফিরিয়ে নিয়ে থাকেন (যেমন এভাবে বললেন যে, আমি তোমাকে ফিরিয়ে নিলাম বা স্ত্রী হিসেবে গ্রহণ করে নিলাম) তবে তা রুজূ হিসেবে গণ্য হবে এবং তিনি আপনার স্ত্রী বহাল থাকবেন। সেক্ষেত্রে ভবিষ্যতে আপনি আর একটি তালাকের মালিক থাকবেন।
আর রুজূ করা ব্যতীত যদি তার ইদ্দত পার হয়ে থাকে তাহলে তালাকটি বায়েনে পরিণত হওয়ায় আপনাদের উভয়ের মাঝে স্বামী স্ত্রীর সম্পর্ক শেষ হয়ে গেছে। আপনারা পুনরায় সংসার করতে চাইলে দুজন সাক্ষীর সামনে নতুনভাবে মোহর ধার্য করত ঈজাব কবূলের মাধ্যমে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হতে হবে।-সূরা বাকারাহ, আয়াত নং ২২৯; সুনানে আবু দাউদ, হাদীস নং ১১৮৪; ফাতহুল কাদীর ৪/৩; তাবয়ীনুল হাকায়েক ৩/১৩৯; বাদায়েউস সানায়ে ৩/২৯৫; আদ্দুররুল মুখতার ৪/৪৩৮

Loading