প্রশ্ন : আসসালামু আলাইকুম। আমি একটি সমিতিতে চাকুরি করতাম সম্পাদক পদে, এই সমিতির কাজ ছিল সুদের উপর ঋন দেয়া। আমি থাকা কালীন অনেক ঋন দিয়েছি নিয়ম অনুযায়ী, অর্থাৎ কোনো ঘুষের বিনিময়ে বা অন্য কোনো সুবিধা নিয়ে কোনো ঋন দেই নাই। এখন সমিতিটি বিলুপ্তের পথে, অর্থাৎ অনেক ঋন গ্রহীতাই আর ঋনের টাকা পরিশোধ করছে না। আর এভাবে ঋন গ্রহীতারা ঋন পরিশোধ না করলে অনেক শেয়ার হোল্ডারের আমানত অর্থাৎ জমা টাকা ফেরৎ পাবে না। এখন আমার প্রশ্ন, এখন ঐ সব গ্রহীতারা অর্থাৎ যাদের ঋন আমার দায়িত্ব কালীন অবস্থায় দিয়েছি তারা টাকা না দিলে, আমানতদারীদের আমানতের টাকা খোয়া গেলে এর দায় কি পরকালে আমাকে দিতে হবে নাকি ঐ সব ঋন গ্রহীতারা এর দায় দিবে যারা ঋন পরিশোধ না করায় শেয়ার হোল্ডারের টাকা মাইর গেছে? আর যদি এর দায় আমার উপর বর্তায় তাহলে আমার করনীয় কি? দয়া করে জানালে খুব উপকৃত হব হুজুর।
উত্তর :ওয়া আলাইকুমুস সালাম
যদি আপনি সমিতির শর্ত ও নিয়ম মেনে যাচাই বাছাই করে ঋণ দিয়ে থাকেন তবে এর দায় দায়িত্ব আপনার উপর আসবে না। বরং যারা ঋণ নিয়ে তা পরিশোধ করছে না তাদের উপর বর্তাবে।
তবে সূদী কারবারে জড়িত হওয়ার দরূন অত্যন্ত জঘন্যতম গোনাহের কাজ করে ফেলেছেন। সূদী কারবারে জড়িত হওয়া আল্লাহ এবং তার রাসূলের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করার নামান্তর। আল্লাহ তাআলার নিকট খালেছভাবে তাওবা করে নিবেন এবং ভবিষ্যতে এ ধরণের কর্মকাণ্ড থেকে বিরত থাকবেন।–সূরা বাকারাহ, আয়াত নং ২৭৯; সহীহ মুসলিম, হাদীস নং ৪১৭৭