প্রশ্ন : আসসালামু আলাইকুম, আমার আম্মু (বয়স- ৫০ এর বেশী) এবং বড় বোন (বয়স- প্রায় ৩০ এবং তার সন্তানও আছে) মাহরাম ছাড়া গ্রামের বাড়িতে যেতে চান। ঢাকা থেকে বরিশাল লঞ্চে যাবে, দুরত্ব প্রায় ২৫০ কি.মি. এর বেশী। ইসলাম কি তাদের যেতে অনুমতি দেয় যদি ফেতনার আশংকা না থাকে?

উত্তর :

ওয়া আলাইকুমুস সালাম
হাদীস শরীফে মাহরাম ব্যতীত মহিলাদের সফরের ব্যপারে কঠোর নিষেধাজ্ঞা এসেছে। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ইরশাদ করেন-
لاَ يَحِلُّ لاِمْرَأَةٍ تُؤْمِنُ بِاللَّهِ وَالْيَوْمِ الآخِرِ أَنْ تُسَافِرَ سَفَرًا فَوْقَ ثَلاَثَةِ أَيَّامٍ فَصَاعِدًا إِلاَّ وَمَعَهَا أَبُوهَا أَوْ أَخُوهَا أَوْ زَوْجُهَا أَوِ ابْنُهَا أَوْ ذُو مَحْرَمٍ مِنْهَا
অর্থঃ আল্লাহ তাআলার উপর এবং কিয়ামত দিবসের উপর ঈমান রাখে এমন কোন মহিলার জন্য তিন দিন বা তদাপেক্ষা বেশী (অর্থাৎ ৪৮ মাইল বা তদাপেক্ষা বেশী) দুরুত্বের সফর করা বৈধ নয়। তবে যদি তার সাথে তার পিতা বা ভাই বা স্বামী বা ছেলে অথবা কোন মাহরাম থাকে (সেক্ষেত্রে জায়েয)।–সুনানে আবূ দাউদ, হাদীস নং ১৭২৮; সহীহুল বুখারী, হাদীস নং ১০৮৬
উল্লেখ্য যে, হাদীস শরীফে তিন দিনের সফর দ্বারা ৪৮ মাইল উদ্দেশ্য। কেননা রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের যামানায় এক দিনে সাধারণত ১৬ মাইল সফর হত।
তাই আপনার আম্মু এবং বড় বোনের জন্য কোন মাহরাম ব্যতীত ২৫০ কিঃ মিঃ সফর করা জায়েয হবে না। আর বাহ্যিকভাবে কোন ফেতনা না থাকলেও আল্লাহর রাসূলের হাদীসের বিরুদ্ধচারনের ফেতনা কি কম বড়? তাছাড়া ফেতনা নেই এটাও কি নিশ্চিতভাবে বলা যায়? প্রতিনিয়ত কত খবর আসছে দুর্ঘটনার তার কোন ইয়াত্তা নেই।

Loading