কুরবানীর চামড়ার হুকুম
মাসআলাঃ কুরবানীর পশুর চামড়া পরিশোধন করে নিজে ব্যবহার করা জয়েয।
মাসআলাঃ যদি কেউ কুরবানীর চামড়া বিক্রি করে তবে তার পুরো মুল্য ছদকাহ করা ওয়াজিব।- ফাতাওয়া হিন্দীয়া ৫/৩০১
মাসআলাঃ কুরবানীর পশুর চামড়ার মুল্য ছদকাহ করার নিয়তে বিক্রি করবে। নিজে খরচ করার নিয়তে বিক্রি করা জায়েয নেই। নিয়ত যা-ই করুক সর্বাবস্থায় ছদকাহ করা ওয়াজিব। -ফাতাওয়া হিন্দীয়া-৫/৩০১
মাসআলাঃ কুরবানীর চামড়ার মুল্য গরীব-মিসকীনদের মাঝেই ছদকাহ করতে হবে। তা দ্বারা মসজিদ মাদ্রাসা নির্মাণ,বেতন বা পারিশ্রমিক প্রদান ইত্যাদি কাজে ব্যয় করা যাবে না। বরং গরীবদেরকে মালিক বানিয়ে দিতে হবে। -রদ্দুল মুহতার -৬/৩২৮
মাসআলাঃ কুরবানীর চামড়ার ব্যপারে উত্তম পন্থা হল তা গরীব আত্মীয় সজন বা দ্বীনী শিক্ষায় অধ্যয়নরত গরীব ও এতিম ছাত্রদেরকে সরাসরি দান করে দেওয়া। তালেবে এলেমদেরকে দান করলে এক দিকে যেমন দান করার ছাওয়াব পাওয়া যায়,অন্যদিকে মহান দ্বীন চর্চার সহযোগীতও করা হয়। এবং এতে ছদকায়ে জারিয়ার ছাওয়াব পাওয়া যায়।
কুরবানীর চামড়া কোন দ্বীনী প্রতিষ্ঠানে দান করে প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে বিক্রি করানো উত্তম। কেননা এতি লাভ বেশি অর্জিত হয়ে গরীবের বেশি উপকার হয় এবং দাতার ছাওয়াবও বেশি হয়ে থাকে।
মাসআলাঃ কুরবানীর পশুর চামড়ার মুল্য নিজের প্রয়েজনে ব্যবহার করা গোনাহের কাজ। ঐ টাকাই ছদকাহ করবে। নিজের প্রয়োজনে খরচ করে পরে নিজের থেকে আদায় করলে আদায় হবে বটে তবে এতে গোনাহ হবে।