প্রশ্ন : আসসালামু আলাইকুম। ১। পেশাব করার পর ৪০ কদম হেটে ঢিলা বা টিস্যু ব্যবহার করে পানি নেওয়ার পর অযু করলে সামান্য পরিমাণ পেশাব বের হলে কি অযু থাকবে? উল্লেখ্য আমার ডায়াবেটিস নেই। ২। বিছানায় বীর্য লাগার পর শুকালে ঐ বিছানায় ঘুমানো যাবে? ৩। জিন্স পেন্ট পড়ে নামায হবে? ৪। বিতর নামায ১ রাকাআত পড়ার নিয়ম কি? ৫। আমি আমার অতীতের ক্বাযা নামাযগুলো কিভাবে পূরন করবো?
উত্তর :
ওয়া আলাইকুমুস সালাম
প্রিয় দ্বীনী ভাই, প্রশ্ন ফরমে অনুরোধ করা হয়েছিল একসাথে তিনটির বেশি প্রশ্ন না করার জন্য। বিষয়টি বিবেচনায় রাখা উচিত।
১। হ্যাঁ, ভেঙ্গে যাবে।
উল্লেখ্য যে, পেশাব করার পর গুনে গুনে চল্লিশ কদম হাঁটার দ্বারাই পবিত্রতা অর্জন হয় না। বরং যখন নিশ্চিত হবে যে, পেশাবের কতরা বন্ধ হয়ে গিয়েছে কেবল তখনই পবিত্রতা অর্জন হবে। চাই তা দুই এক কদম হাঁটার দ্বারা হোক বা চল্লিশের বেশি কদম হাঁটার দ্বারা হোক বা চুপচাপ দাঁড়িয়ে থাকার দ্বারা হোক বা অন্য কোন উপায়ে। মোটকথা পেশাবের কতরা বন্ধ হওয়াই উদ্দেশ্য। চাই তা যেভাবেই হোক না কেন।–আল বাহরুর রায়েক ১/৫৯; গুনইয়াতুল মুসতামলী, পৃষ্ঠা ১২৭
২। হ্যাঁ, যাবে। তবে তা ভিজে কোনভাবে শরীর বা কাপড়ে লাগলে এবং তাতে তার আছর প্রকাশ পেলে শরীর বা কাপড় নাপাক হয়ে যাবে। শুকনো অবস্থায় লাগলে কোন সমস্যা নেই।
৩। হ্যাঁ, নামায তো হয়ে যাবে। তবে লক্ষ রাখতে হবে যেন তা টাখনুর নীচে না থাকে এবং এতটা টাইটফিট না হয় যাতে (সিজদার সময়) শরীরের সতর ভেসে উঠে।
৪। বিতির নামায তিন রাকাআত। এক রাকাআত নয়।–সহীহুল বুখারী, হাদীস নং ১১৪৭; সহীহ মুসলিম, হাদীস নং ১৭৫৭
৫। প্রথমে আপনি হিসাব করবেন আনুমানিক কত ওয়াক্তের নামায আপনার ক্বাযা হয়েছে। সঠিক হিসাব বের করতে না পারলেও প্রবল ধারণার ভিত্তিতে এমন একটা হিসাব বের করবেন, যার ক্বাযা আদায় করলে অন্তরে এই ইয়াকীন হাছিল হয় যে, আমার জিম্মায় আর কোন নামায ক্বাযা নেই। এরপর ধীরে ধীরে তা আদায় করতে থাকবেন। আর নিয়ত এভাবে করবেন (যেমন ফজরের ক্ষেত্রে) আমার জিম্মায় যে ফজরের নামাযগুলো রয়েছে তার প্রথমটা বা শেষটার ক্বাযা আদায় করছি। এভাবে অন্যান্যগুলো নিয়ত করবেন।–হাশিয়ায়ে তাহতাবী আলাল মারাকী, পৃষ্ঠা ৪৪৭; ফাতাওয়া তাতারখানিয়া ২/৭৬৬