প্রশ্ন : ১। আমি ২০১৭ সালে ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করি। এভিডেভিডে নাম পরিবর্তন করলেও সার্টিফিকেট, পাসপোর্ট বা আইডি কার্ডে পূর্বের নামই আছে। আমার প্রশ্ন হল, পাসপোর্টে নাম রিতু কুন্ডু থাকলে হজ্জ্বে যাওয়া যাবে কিনা? কারন আমি একটি হাদীসে পড়েছি, নবী সাল্ললাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, কেয়ামত দিবসে প্রত্যেককে তার পিতার দেয়া নামেই ডাকা হবে এবং নারীরা যেন পিতার নাম ত্যাগ করে স্বামীর নাম গ্রহণ না করে। এটা আমার ক্ষেত্রে কিভাবে হবে? ২। আমার ছেলের জন্মের পর ৭ দিনে আকীকা ও নাম দেয়া হয়েছিল। এখন নাম পরিবর্তন করে হামীম রাখা হচ্ছে। এতে কোন অসুবিধা আছে কি? ৩। কাজী অফিসে গিয়ে কাগজে সাইন করে (মুখে না বলে) খোলা তালাক দিলে সেই স্বামী স্ত্রীর তালাক শুদ্ধ হয় কি না এবং হলে পুনরায় বিয়ে হওয়ার নিয়ম কি?
উত্তর :১। প্রিয় দ্বীনী বোন, প্রথমেই ইসলামের সুশীতল ছায়াতল ও শান্তির ধর্মে আসার জন্য আপনাকে আন্তরিক মোবারকবাদ। আল্লাহ তাআলা আপনার জন্য বরং আমাদের সকলের জন্য জান্নাতের রাস্তা সহজ করে দিন।
না, পাসপোর্টে উক্ত নাম থাকলে হজ্জ্বে যেতে কোন অসুবিধা নেই। তবে ভবিষ্যতে পাসপোর্ট ও আইডি কার্ডেও নাম সংশোধন করে নেওয়া ভালো।
আর কিয়ামত দিবসে প্রত্যেককে তার পিতার দেয়া নামে ডাকা হবে হাদীসটি এমন নয়, বরং হাদীস শরীফে রয়েছে, “কিয়ামতের দিন তোমাদেরকে তোমাদের নাম ও তোমাদের পিতাদের নামে ডাকা হবে”। যেমন হে আব্দুল্লাহের মেয়ে ফাতেমা। কাজেই আপনাকেও আপনার পিতার দিকে সম্পৃক্ত করে ডাকা হবে। তবে আপনার জন্য এতে দোষণীয় কিছু নয়। এখন আপনার দায়িত্ব হল আপনার পিতামাতাকেও ইসলামের সুশীতল ছায়াতলে আনার আপ্রাণ চেষ্টা করা।–সুনানে আবূ দাউদ, হাদীস নং ৪৯৫০
২। না, কোন অসুবিধা নেই।
৩। এভাবে বলা যাবে না। বাস্তবে যা হয়েছে তা লিখে পাঠালে উত্তর দেওয়া সম্ভব। অর্থাৎ কিভাবে খোলা করা হয়েছিল এবং কোন কাগজপত্র না থেকে থাকলে মৌখিকভাবে কি বলা হয়েছিল এগুলো জানার পরে উত্তর দেওয়া হবে ইংশাআল্লাহ।
উল্লেখ্য যে, খোলা তালাকের জন্য তা লিখিতভাবে হওয়া বা তাতে সাইন করা জরুরী নয়। বরং মৌখিকভাবেও তা কার্যকর হয়ে যায়।