প্রশ্ন : আসসালামু আলাইকুম, আমি বিগত দিনে কিছু আমল করি আমল দুইটি নিম্নরুপ:- ১) আমি প্রথম প্রথম খুব মেহনত করতাম, যেমন- চিল্লায় নতুন মসজিদে গেলে স্বতস্ফুর্তভাবে মসজিদ আমিই পরিষ্কার করতাম, বৃদ্ধদের ব্যাগ নিজে বহন করতাম, তাছাড়াও আরো অনেক মেহনতের কাজ করতাম । ফলাফল: চিল্লায় যাওয়ার আগে থেকে খাবার বেশী খেতাম, জিম করতাম। ২) কিন্তু বর্তমানে বেশী পরিমানে নফল রোযা রাখি। ফলাফল: চিল্লায় যাওয়ার পর থেকে খাবার খাওয়া কমিয়ে দিয়েছি, ওজন কমে গেছে, এখন নিজের ব্যাগ বহন করতেই কষ্ট হয়। দুইটা আমলের মধ্যে একটা করলে, অপরটি করতে পারবো না। তাই আপনার কাছে অনুরোধ রইল দুইটারই ফাযায়েল দিয়ে আমাকে জানাবেন কোনটি আমার জন্য উত্তম ও আল্লাহর নৈকট্যতা অর্জন হবে।
উত্তর :ওয়া আলাইকুমুস সালাম
হাদীস শরীফে আছে-
الْمُؤْمِنُ الْقَوِىُّ خَيْرٌ وَأَحَبُّ إِلَى اللَّهِ مِنَ الْمُؤْمِنِ الضَّعِيفِ
অর্থঃ শক্তিশালী মুমিন দুর্বল মুমিনের চেয়ে উত্তম এবং আল্লাহর কাছে অধিক প্রিয়।–সহীহ মুসলিম, হাদীস নং ৬৯৪৫
আপনি অধিক পরিমানে দ্বীনী খেদমতের পাশাপাশি সাধ্যমত নফল রোযাও তো রাখতে পারেন। একটি করলে অপরটি করা যাবে না বিষয়টি তো এমন নয়। আর নফল রোযা রাখতে হলে কি কম খাওয়া বাধ্যতামূলক? পরিমাণমত খেয়ে রোযা রেখেও তো নফল রোযার ফযীলাত অর্জন করা যায়। আর খাবারের পরিমাণ এমনভাবে কমিয়ে দেওয়া যে, ইবাদাত বন্দেগীর শক্তি সামর্থ্য নষ্ট হয়ে যায়, এটা এক প্রকার মূর্খতা। এর মধ্যে কোন কল্যাণ বা বুজুর্গী নেই। আল্লাহ তাআলা বান্দার কাছে এমন ইবাদাত বন্দেগী চান না, যা আদায় করতে গিয়ে বান্দা নিজেকে শেষ করে ফেলবে। তাই আপনি পরিমাণমত খাবেন যাতে দ্বীনী খেদমত আঞ্জাম দিতে পারেন এবং সাধ্যমত নফল রোযাও রাখতে পারেন।
হাদীস শরীফে রয়েছে, তোমার নিজের শরীরের উপর তোমার হক রয়েছে।…..প্রত্যেক হক ওয়ালাকে তার হক বুঝিয়ে দাও।–সহীহুল বুখারী, হাদীস নং ১৯৬৮