প্রশ্ন : আসসালামু আলাইকুম। আমাদের একজন কলিক আছেন যে আমার সহকর্মী। সে প্রায় সময়ই হোটেলে যায় মেয়ে ভোগ করার জন্য। সে বলে ইসলামে নাকি এমন কি নিয়ম আছে যার দ্বারা কোন মেয়েকে কোন উপহার দিলে সেই মেয়ে এক রাত বা সাময়িক সময়ের জন্য হালাল হয়। এমনকি কোরআনের একটি আয়াতও নাকি আছে যেটা সে আমাকে শুনিয়েছে। সে বলে হুজুররা এটা নাকি গোপন রাখে কোন এক কারণে। আমার প্রশ্ন তাহলে হুজুররা নিষেধ করে কেন? এতে তাদের কি লাভ? এটাকি সঠিক নাকি মিথ্যা তার মন গড়া বানানো? যদি এমন হয় বা এধরণের কোন শর্তের ভিত্তিতে যদি কোন মেয়েকে অল্প সময়ের জন্য হালাল করা যায় তবে কি ভাবে? এর নিয়ম কানুন কি কি? জানালে উপকৃত হব।
উত্তর :ওয়া আলাকুমুস সালাম
সাময়িক সময়ের জন্য বিবাহ করা বা কোন কিছুর বিনিময়ে নির্দিষ্ট সময়ের জন্য কোন মহিলাকে ভোগের চুক্তি করা সম্পূর্ণ নাজায়েয ও হারাম। একে নিকাহে মুতআ বলে। এর দ্বারা বিবাহের আকদ সংঘটিত হয় না। ইসলামের প্রাথমিক যুগে নির্দিষ্ট সময়ের জন্য এর অনুমতি ছিল। পরবর্তীতে সর্বসম্মতিক্রমে তা রহিত হয়ে গিয়েছে। একাধিক স্পষ্ট সহীহ হাদীস যার সাক্ষ্য বহন করে।
أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم نَهَى عَنِ الْمُتْعَةِ وَقَالَ أَلاَ إِنَّهَا حَرَامٌ مِنْ يَوْمِكُمْ هَذَا إِلَى يَوْمِ الْقِيَامَةِ
অর্থঃ রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম মুতআ থেকে নিষেধ করেছেন এবং বলেছেন শোন, তোমাদের আজকের দিন থেকে নিয়ে তা কিয়ামাত পর্যন্ত হারাম।–সহীহ মুসলিম, হাদীস নং ৩৪৯৬
أن رسول الله صلى الله عليه وسلم-نهى عنها فى حجة الوداع
অর্থঃ রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বিদায় হজের দিন মুতআ থেকে আমাদেরকে নিষেধ করেছেন।–সুনানে আবূ দাউদ, হাদীস নং ২০৭৪
عن ابن عباس قال إنما كانت المتعة في أول الإسلام كان الرجل يقدم البلدة ليس له بها معرفة فيتزوج المرأة بقدر ما يرى أنه يقيم فتحفظ له متاعه وتصلح له شيئه حتى إذا نزلت الآية (إلا على أزواجهم أو ما ملكت أيمانهم) قال ابن عباس فكل فرج سوى هذين فهو حرام
অর্থঃ হযরত ইবনে আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণিত তিনি বলেন, ইসলামের প্রাথমিক যুগে মুতআ বৈধ ছিল।……. অতঃপর إلا على أزواجهم أو ما ملكت أيمانهم এই আয়াত নাযিল হলে স্ত্রী এবং শরীআত সম্মত বাদী ব্যতীত সকলে হারাম হয়ে যায়।–সুনানে তিরমিজী, হাদীস নং ১১২২
আর আপনার বন্ধুর কথা খুবই আপত্তিকর। একে তো উলামায়ে কেরামের উপর খেয়ানতের অপবাদ দেন আবার জঘন্যতম হারাম কাজে নিজে লিপ্ত থেকে ভুল ব্যাখ্যা করে অপরকে উদ্বুদ্ধ করেন। এর মধ্যে আর পতিতাবৃত্তির মধ্যে কি তফাৎ?