প্রশ্ন : আসসালামু আলাইকুম। আমার বয়স এখন ২৬ বছর। স্কুল কলেজে পড়াকালীন সময়ে আমি রোযা রেখে ফজরের আযানের কিছু আগে বা আযানের মধ্যেই পানি খেতাম। আব্বার বকুনিতে তা বাদ দিয়েছিলাম। আমি আকাশের কালো রেখা দূর হয়নি ভেবে তা খেতাম। এখন আপনার লেখা পড়ে মনে হচ্ছে তা অনুচিত ছিল। কিন্তু এই কাজ আমি কোন বয়সে কতগুলো রোযায় বা কতবার করেছি আমার ধারনা নেই। এখন আমার করনীয় কি?
উত্তর :তানকীহ (প্রশ্ন স্পষ্টকরণ)-
ওয়া আলাইকুমুস সালাম
আপনার প্রশ্নের উত্তর দেওয়ার জন্য নিম্নোক্ত বিষয়গুলো জানা প্রয়োজন।
১। আপনি কি সময় আছে মনে করে খেতেন নাকি ইচ্ছা করেই গাফলতি করে জেনেশুনে খেতেন? কেননা আযানের সময় যে খাওয়া যায় না এটা তো সবাই জানে।
২। আপনি প্রশ্নে উল্লেখ করেছেন রোযা রেখে আযানের সময় খেতেন। তাহলে কি একনাগাড়ে আযান পরবর্তী সময় পর্যন্ত খেতেন নাকি খাওয়া শেষ করার পর রোযার নিয়ত করে আযানের সময় পুনরায় খেতেন।
তানকীহের উত্তরঃ আমি মনে করতাম আযানের সময় পর্যন্ত পানি খেলে সমস্যা হয় না। আযানের পরবর্তী সময় কখনো খাইনি। আর নিয়তের পুর্বেই ফজরের আযানের মধ্যে পানি খেতাম। এখন অনুশোচনা হচ্ছে। আমার কি করনিয়?
মূল উত্তরঃ প্রশ্নের বর্ণনা অনুযায়ী যে রোযাগুলোতে আপনি আযানের মধ্যে পানাহার করেছেন সেগুলোর শুধু ক্বাযা আসবে কাফফারা নয়। তাছাড়া এখানে আযান মূল বিষয় না। বরং আযনের পূর্বেও সুবহে সাদিকের পরে যদি পানাহার করে থাকেন সেগুলিও ক্বাযা করতে হবে। আর কোন বয়সে কতগুলো রোযায় এমন করেছেন তা আপনাকেই বের করতে হবে প্রবল ধারনার দ্বারা। আপনি বালেগ হওয়ার পর যতগুলো রোযায় এমন করেছেন সেগুলো ক্বাযা করতে হবে। আর পুরুষেরা ১২ বসরের পূর্বে বালেগ হয় না।
সারকথা, আপনি রোযাগুলো ক্বাযা করতে থাকবেন যতক্ষণ না আপনার প্রবল ধারণা হয় আপনার জিম্মায় থাকা রোযাগুলো আদায় হয়ে গিয়েছে।– সহীহুল বুখারী, হাদীস নং ১৯৩৬; রদ্দুল মুহতার ২/৪০৭,৪১১,৪১২; তাবয়ীনুল হাকায়েক ১/৩১২।