প্রশ্ন : হযরত আসসালামু আ’লাইকুম। আমার প্রশ্ন হচ্ছে: (১) রোযাবস্থায় নিজের স্ত্রীকে ঠোঁটে চুম্বনের সময় স্ত্রীর জিহ্বাকে চুম্বনকরতঃ তাঁর জিহ্বার থুথু আমি খেয়ে ফেলেছি। এতে আমার এবং তাঁর রোযা ভঙ্গ হয়েছে কি? যদি ভঙ্গ হয়ে থাকে তাহলে কাফফারা ওয়াজিব হয়েছে কি? না কি শুধু কাযা ওয়াজিব হবে? (২) এক্ষেত্রে যদি সহবাস ছাড়াই বীর্যপাত হয়ে যায় তাহলে কি রোযা ভঙ্গ হবে কি? যদি ভঙ্গ হয়ে থাকে তাহলে কাফফারা ওয়াজিব হয়েছে কি? না কি শুধু কাযা ওয়াজিব হবে? মেহেরবানী করে উত্তর দিয়ে চিন্তামুক্ত করবেন। ধন্যবাদ
উত্তর :ওয়া আলাইকুমুস সালাম
(১) হ্যাঁ, আপনার রোযা ভঙ্গ হয়েছে। আর যদি আপনার থুতু আপনার স্ত্রীর পেটে যায় তবে তার রোযাও ভঙ্গ হয়েছে। এমতাবস্থায় আপনার উপর ক্বাযা ও কাফফারাহ উভয়টি ওয়াজিব। অনুরূপভাবে আপনার স্ত্রীর উপরও উভয়টি ওয়াজিব যদি তার রোযা ভেঙ্গে থাকে। রোযার কাফফারা হল,একটি রোযার জন্য (একটি কাযা রোযা ব্যতীত) টানা ২ মাস রোযা রাখতে হবে। কাফফারা যদি চান্দ্র মাসের পহেলা তারিখে শুরু করে তবে দুমাস রোযা রাখলেই হবে । আর যদি মাসের মাঝখান থেকে শুরু করে তবে ধারাবাহিকভাবে ৬০টি রোযা পূর্ন করতে হবে । এই ৬০ দিন রোযা রাখতে গিয়ে যদি কোন কারনে ধারাবাহিকতা ছুটে যায় তবে আবার নতুন করে শুরু করতে হবে । কাফফারার রোযা আদায় করতে গিয়ে যদি মধ্যখানে দুই ঈদের কোনদিন এসে পড়ে তবে পূনরায় নতুন করে শুরু করতে হবে। তবে হায়েযের কারনে মহিলাদের যে দিনগুলো বিরতী যাবে তাতে কোন সমস্যা নেই । কিন্ত নেফাসের কারনে বিরতী পড়লে আবার নতুন করে শুরু করতে হবে।
উল্লেখ্য যে, কাফফারার রোযার নিয়ত সুবহে সাদিকের পূর্বে করা জরুরী।–সূরা মুজাদালাহ, আয়াত ৩,৪; রদ্দুল মুহতার ২/৪১০,৪১১,৪১২; ফাতাওয়া হিন্দিয়া ১/২০৩, ১/২১৫; মারাকিল ফালাহ, পৃষ্ঠা ৬৬৭; ফাতহুল কদীর ২/৩৪০; ফাতাওয়া মাহমূদিয়া ১০/১৭১।
(২) সহবাস ছাড়া স্পর্শ বা চুম্বনের কারনে বীর্যপাত হলে শুধু ক্বাযা ওয়াজিব, কাফফারাহ নয়।– আন নাহরুল ফায়েক ২/২২; ফাতাওয়া হিন্দিয়া ১/২০৪; মারাকিল ফালাহ, পৃষ্ঠা ৬৬৬।