প্রশ্ন : ১.মার্শাল আর্ট, কারাতে, জুডো, তায়কোয়ানদো এসমস্ত বিষয় শেখার শরীআতের হুকুম কি?২. এসব খেলা হিসেবে কোন প্রতিযোগিতা করা যাবে?৩. কূনুতে নাজিলা কেন পড়তে হয়? বর্তমানে এটা পড়ার মত কোন অবস্থা আছে কি?৪. দাজ্জাল ও কিআমত বিষয়ে ভাল বই এর নাম ও প্রকাশনীসহ বললে ভাল হয়

উত্তর :

১+২। এমনিতে এগুলো শিখতে তেমন কোন সমস্যা নেই যদি কিনা শারীরিক কসরত বা আত্মরক্ষার উদ্দেশ্যে শিখা হয়। তবে অধিকাংশ সময় এগুলোর সাথে একাধিক নাজায়েয কারনের সন্নিবেশন ঘটে। যেমন-

ক। সতর খোলা।
খ। হার-জিত উদ্দেশ্য হওয়া । অনুরূপভাবে পেশা হিসেবে খেলা ।
গ। জুয়া বা বাজির সন্নিবেশ ঘটা।
ঘ। ফরজ ,ওয়াজিব ও ওয়াজিব কোন হকের ব্যাপারে উদাসীনতা সৃষ্টি না করা। যেমনঃ নামাজ বা তার উপরে অর্পিত জরুরী কোন দায়িত্ব অবহেলা করা।

ঙ। শরীআতের যে কোন হুকুম লঙ্ঘন হওয়া।
উপরে উল্লেখিত বিষয়গুলো অনুপস্থিত থাকলে এগুলো শিখতে বা চর্চা করতে কোন অসুবিধা নেই।

আর প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ যদি শারীরিক কসরত হিসেবে বা মানসিক অবসাদ দূর করনার্থে করা হয় তবে অঙ্গহানীর আশংকা না থাকলে তা জায়েয। তবে এগুলোকে পেশা হিসেবে গ্রহন করে সর্বদা এর পিছনে লেগে থাকা বা বিভিন্ন পদক অর্জনের উদ্দেশ্যে দেশ-বিদেশের বিভিন্ন প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করা জায়েয নয়। আর কোন মুমিনের জন্য এটা শোভনীয়ও নয়।   (সূত্রসমূহ –সূরা মুমিনূন, আয়াত -৩,বাদায়েউস সানায়ে ৪০৬/৬,এমদাদুল মুফতীন পৃ:১০০১)।
৩। মুসলমানদের উপর যখন আমভাবে কোন বালা মুসীবত বা অত্যাচার, নিপীড়ন ইত্যাদি আসে তখন ফজরের নামাযে এটা পড়ার অবকাশ রয়েছে। এবং এটা মুস্তাহাবও বটে। তবে উক্ত সমস্যা দূর হয়ে গেলে তা বন্ধ করে দিবে। খোদ রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম মুশরিকদের বিরূদ্ধে এক মাস কুনূতে নাযেলা পড়েছিলেন।–সহীহুল বুখারী, হাদীস নং ১০০২; সহীহু মুসলিম, হাদীস নং ১৫৭৯; তাবয়ীনুল হাকায়েক  ১/৪২৬; রদ্দুল মুহতার ২/১১।

৪। মাওলানা মুহাম্মাদ হেমায়েতুদ্দীন সাহেবের ইসলামী আকীদাহ ও ভ্রান্ত মতবাদ(প্রকাশনায় থানভী লাইব্রেরী) কিতাবটি দেখতে পারেন।

Loading