প্রশ্ন : আসসালামু আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ। হুজুর আমার প্রশ্ন আমাদের এলাকায় জমি এগ্রিমেন্ট নেওয়ার একটা রীতি চালু আছে। এটা জায়েজ কিনা জানতে চাই। এ ব্যাপারে আমি এক হুজুরের কাছ থেকে জানতে চাইলে, তিনি বলেন জমি এগ্রিমেন্ট নেওয়া যাবে না তবে ভাড়া হিসেবে নেওয়া যাবে অর্থাৎ এক বিঘা জমির বাৎসরিক ভাড়া ঠিক করে ভাড়া হিসাবে অগ্রিম২ লাখ বা 2.5 লাখ যাইহোক কিছু টাকা দিয়ে জমি চাষাবাদ করতে পারবেন। তবে যখন জমি ফেরত নিবে তখন যত বছর জমি আপনার দখলে ছিল তত বছরের ভাড়া বাদ দিয়ে অবশিষ্ট টাকা ফেরত নিতে হবে। এট কি সঠিক?
উত্তর :ওয়া আলাইকুমুস সালাম ওয়া রহমাতুল্লাহ
জমি এগ্রিমেন্ট দ্বারা যদি আপনি বন্ধক উদ্দেশ্য করে থাকেন তবে বন্ধকের চুক্তি মূলত জায়েয। তবে বন্ধকী বস্তু (অর্থাৎ জমি বা যা বন্ধক রাখা হয় তা) থেকে উপকৃত হওয়া জায়েয নয়। কাজেই আমাদের সমাজে কাউকে টাকা ঋণ দিয়ে জমি বন্ধক নেওয়ার যে রেওয়াজ রয়েছে তা মূলত বৈধ। কিন্তু ঋণদাতা অর্থাৎ যে ব্যক্তি জমি বন্ধক নিল তার জন্য উক্ত জমি চাষাবাদ করা বা তা থেকে কোনভাবে উপকৃত হওয়া জায়েয নয়। যা স্পষ্ট সূদী কারবার।
তবে প্রশ্নে উল্লেখিত পদ্ধতিতে দীর্ঘমেয়াদী অগ্রিম ইজারার চুক্তি জায়েয। তবে শর্ত হল নামেমাত্র কোনরকম একটি ভাড়া যেন নির্ধারণ না করা হয়। যেমন কোথাও এক বিঘা জমির বাৎসরিক ভাড়া ৫০০০ টাকার প্রচলন রয়েছে কিন্তু ভাড়া নির্ধারণ করা হল ৫০০ টাকা। তাহলে তা বৈধ হবে না। কেননা এটা মূলত সূদকে বৈধ করার একটি বাহানা। তবে হ্যাঁ, ভাড়া অগ্রিম ও দীর্ঘমেয়াদী হওয়ার কারণে কিছুটা কম হতে পারে।–হাশিয়াতুত তাহতাবী আলাদ্দুর ৪/২৩৬; শরহে মাজাল্লাহ ৩/১৯৬, ১৯৭; আদ্দুররুল মুখতার ৬/৪৮২