প্রশ্ন : আসসালামু আলাইকুম। আমার বাবা মারা গিয়েছেন প্রায় এক মাস হল। ওয়ারিশ হিসেবে তিনি স্ত্রী আর তিন কন্যা রেখে গেছেন। আমার বাবা সরকারি চাকুরিজীবী ছিলেন। সেই হিসেবে আমার বাবা পেনশন সহ আরো কিছু টাকা পাবেন যা দিয়ে আমাদের ভরণপোষণ চলবে। আমার প্রশ্ন হচ্ছে, এই টাকা আমি ব্যাংকে ছাড়া আর কোথাও রাখাটা নিরাপদ মনে করছি না। আর আমাদের তিন বোনের পড়াশোনার খরচ এবং সংসারের খরচ চালাতেও অনেক টাকা লেগে যায়। আমি জানি ইসলামে সুদকে হারাম আর ব্যবসাকে হালাল করা হয়েছে। কিন্তু এমতাবস্থায় এই টাকা থেকে ব্যবসা করা আমাদের পক্ষে সম্ভব হচ্ছে না যেহেতু বড় ভাইও নাই। এক্ষেত্রে ব্যংকে বা পোস্ট অফিসে সঞ্চয়পত্র করে টাকা রাখা এবং সেখান থেকে মাসে মাসে যে ইন্টারেস্ট আসে সেটা দিয়ে সংসার চালানো কতটুকু জায়েয বা নাজায়েয হবে?

উত্তর :

ওয়া আলাইকুমুস সালাম
ব্যাংক বা পোষ্ট অফিসের সঞ্চয়পত্র থেকে মাসে মাসে যে ইন্টারেস্ট আসে সেটা সূদের অন্তর্ভুক্ত। তাই সেটা গ্রহন করা বৈধ হবে না। পবিত্র কুরআনে স্পষ্টভাবে সুদকে হারাম করা হয়েছে। আল্লাহ তাআলা রিযিকের ব্যাবস্থাকে প্রশস্ত রেখেছেন। তাই হারাম থেকে সম্পূর্ণ বেঁচে থেকে আল্লাহ্‌র উপর তাওয়াক্কুল করা কর্তব্য। চেষ্টা করলে আল্লাহ তাআলা অবশ্যই হালাল রিজিকের দরজা খুলে দিবেন ইংশাআল্লাহ।
উদ্ভূত পরিস্থিতি নিরসনে বেশ কিছু পদক্ষেপ নেয়া যেতে পারে। যেমন-
১। বর্তমান সময়ে ঘরে থেকেই পর্দা রক্ষা করে অনলাইনে ব্যবসা পরিচালনা করা যেতে পারে।
২। বাবার অবর্তমানে নির্ভরযোগ্য দ্বীনদার কারো মাধ্যমে ব্যবসা পরিচালনা করানো।
৩। তাছাড়া মেয়েদের হাতের কাজ ও বিভিন্ন ক্রাফটিং উপার্জনের সহায়ক হতে পারে।
৪। সম্ভব হলে জমি কিনে বাড়ী বা মার্কেট করে ভাড়া দেওয়া যেতে পারে।
৫। হাঁস, মুরগী বা ছাগল লালন পালন করা যেতে পারে ইত্যাদি।
সূত্র সমূহঃ সূরা বাকারা, আয়াত নং ২৭৫; জামে তিরমিযী, হাদীস নং ১২০৬; ইলাউস সুনান ১৪/৩৬৮; শরহে মুখতাসারুত ত্বহাবী ৪/২৪৮; কিতাবুল উম ৩/৩৫৯

Loading