প্রশ্ন : আসসালামু আলাইকুম রানা (নামটি কাল্পনিক) নামের এক ব্যক্তি ইন্টারনেট থেকে হুরমতে মুছাহারা এবং তালাক বিষয়ক বিভিন্ন প্রশ্নোত্তর পড়েছিলেন। এসময় এগুলোর ভয়াবহ প্রভাব দেখে সে খুবই ভয় পেয়ে যায় এজন্য যে, তালাক বিষয়ে বিভিন্ন কথা পড়ার কারণে কি আবার তার ক্ষেত্রে প্রয়োগ হয়ে গেলো কিনা। তারপর তার এক বন্ধুর (বন্ধু মাদ্রাসায় কিতাবখানায় পরে) কাছে বিষয়টি শেয়ার করেছেন যে, পড়ার কারনে তার কোন সমস্যা হবে কিনা? তার বন্ধু বললেন সমস্যা হবে না। এবং সে বললো দোয়া করিস যেনো এমন কথা মুখ দিয়ে কখনো না আসে। এবং রানা তার বন্ধুকে একটা ঘটনা শোনায় যেটা সে ইন্টারনেট এ পড়েছিল। সেটা হলো,এক ব্যক্তি তার স্ত্রী কে বলেছে তুমি যদি ওমুক কাজটি (রানা ঘটনা বলার সময় কাজটির কথা উল্লেখ করেছিল) একবার করো তবে এক তালাক এভাবে লোকটি তিনবার পর্যন্ত বলেছেন, অতঃপর লোকটির স্ত্রী সেই কাজ ৩ বার এর বেশি করে ফেলে, ফলে তাদের বিচ্ছেদ ঘটে। কিন্তু সমস্যা হলো রানা যখন তার বন্ধু কে কথাগুলো এবং বিশেষ করে উক্ত ঘটনাটা বলতেছিল তখন তার মনে হচ্ছিল যেনো সে তার স্ত্রীকে বলে ফেলতেছে। এখন এ বিষয় নিয়ে রানা খুবই ভীত ও চিন্তিত যে, তার এমন মনে হওয়া বা অনুভূত হওয়া দারা কি তার মনে মনে নিয়্যত সাব্যস্ত হয়ে গেল কিনা? কারণ সে পড়েছিল মনে নিয়্যত থাকলে মুখে অন্য কথা বললেও তা প্রয়োগ হয়ে যায়। বিঃদ্রঃ ” রানা অবিবাহিত “প্রশ্ন ১: রানার এরুপ বর্ননা করা এবং মনে হওয়া দ্বারা কি তার ভবিষ্যৎ স্ত্রী যদি বিয়ের পর উল্লেখিত কাজ টি ৩ বার করে তবে কোন সমস্যা হবে কি? প্রশ্ন ২: এরকম মনে হওয়া বা অনুভূত হওয়ার দারা কি মনে মনে নিয়্যত সাব্যস্ত হয়ে যাবে? প্রশ্ন ৩: মনে মনে নিয়্যত বলতে আসলে কি বুঝায়?

উত্তর :

ওয়া আলাইকুমুস সালাম
১। এরূপ বর্ণনা করা এবং মনে হওয়ার দ্বারা তালাক পতিত হবে না। তালাক পতিত হবার জন্য শর্ত হল, (বিবাহের মাধ্যমে) তালাকের মালিক হওয়া বা মালিকানার সাথে সম্পৃক্ত করে তালাক দেওয়া। এছাড়া অন্য কোন অবস্থায় তালাক পতিত হবে না।
২। এরকম মনে হওয়া বা অনুভূত হওয়ার দ্বারা নিয়ত বাস্তবে কার্যকর হবে না। আর শুধু মনে মনে নিয়ত করার দ্বারা কিছুই হবে না যতক্ষণ না তা মুখে উচ্চারণ করা হয়।
৩। মনে মনে নিয়তের অর্থ হল কোন কাজ করার সংকল্প বা ইচ্ছা করা (মুখে উচ্চারণ ব্যতীত)। আর শুধু মনের ইচ্ছার দ্বারাই কোন কাজ সংঘঠিত হয়ে যায় না।
সূত্রসমূহঃ সুনানে আবু দাউদ, হাদীস নং ২১৯০; সহীহ মুসলিম, হাদীস নং ২০১; ফাতাওয়া বাযযাযিয়্যাহ ১/১৭৯; আদ্দুররুল মুখতার ৪/৪৩১; ফাতাওয়া হিন্দিয়া ১/৪১৫

Loading