প্রশ্ন : আসসালামু আলাইকুম। ১। কেউ অতীতের অনেক রোযা ইচ্ছাকৃত বা সফরে থাকার কারনে ছেড়ে দিয়েছে। এখন তা ভুলে গেছে কোন কোন সালে কতগুলি রোযা ছেড়েছিল। ঐ সমস্ত রোযার কাযা কাফফারা কীভাবে আদায় করবে? ২। আমার দাদী বার্ধক্যজনিত কারণে রোযা রাখতে অপারগ। তার এমন কোনো সম্পত্তিও নেই যা থেকে ফিদয়া দিবে। তার চার মেয়ে এবং দুই ছেলে। এখন কথা হল, তার পক্ষ থেকে উক্ত ফিদায়া দেওয়া কাদের দায়িত্ব? যদি ছেলেমেয়ের দায়িত্ব হয় এবং কেউ তা দিতে অস্বীকৃতি জানায় (আর্থিক অসচ্ছলতার কারণে) তাহলে কী সে গুনাহগার হবে? ৩। প্রত্যেকটি রোযার জন্য ফিদয়া টাকার হিসেবে কত টাকা হয়?
উত্তর :ওয়া আলাইকুমুস সালাম
১। প্রবল ধারণার ভিত্তিতে অতীতের ক্বাযা রোযাগুলো এমনভাবে হিসাব করবে যাতে কম না হয়। সেগুলো ক্বাযা করে নিবে। এগুলো হল ঐ সকল রোযা যেগুলো রাখাই হয়নি বা রোযার নিয়তই করা হয়নি।
আর কখনো রোযা রেখে বিনা উযরে ভেঙ্গে ফেললে ক্বাযার পাশাপাশি কাফফারাও আদায় করতে হবে। নিম্নের লিঙ্কে আপনি কাফফারার যাবতীয় মাসআলা পেয়ে যাবেন-
http://muftihusain.com/article/%e0%a6%95%e0%a6%be%e0%a6%ab%e0%a6%ab%e0%a6%be%e0%a6%b0%e0%a6%be%e0%a6%b0-%e0%a6%ae%e0%a6%be%e0%a6%b8%e0%a6%86%e0%a6%b2%e0%a6%be%e0%a6%b8%e0%a6%ae%e0%a7%82%e0%a6%b9/
২। যদি আসলেই কোন সম্পদ না থেকে থাকে তবে ভবিষ্যতে কখনো সম্পদ হাতে এলে আদায় করবে। আর মৃত্যুর পূর্বে তার ওসিয়ত করে যাওয়া কর্তব্য। এটা তার জিম্মায় ঋণ থাকবে। তার কোন পরিত্যক্ত সম্পদ থাকলে সেখান থেকে ওয়ারিছগণ আদায় করবে।
উল্লেখ্য যে, সামর্থ্যবান সন্তানদের উপর মায়ের রোযার ফিদয়া আদায় করা নৈতিক দায়িত্ব।
তবে বৃদ্ধতার কারণে রোযা রাখতে না পারলে এবং ফিদয়া দেয়ার কোন সম্পদ না থাকলে আল্লাহ তাআলা মাফ করে দিবেন ইংশাআল্লাহ।–রদ্দুল মুহতার ২/৪২৭; ফাতওয়ায়ে দারুল উলূম দেওবন্দ ৬/২৯৬
৩। ১৬৬২ গ্রাম গম বা আটার মূল্য।