প্রশ্ন : যদি ইমাম সাহেবে কুরআনের তাফসীর করার সময় তার সামনেই স্ট্যান্ড লাগিয়ে তার তাফসীরের ভিডিও করা হয় তবে তার পিছনে নামায পড়া যাবে কি? যদি না যায় তবে আমরা কি করবো? কারণ বর্তমানে আমার নামাযের তিনটি স্থান রয়েছে। দুটিতে ইমাম সাহেব ইউটিউবের ভিডিও দেখেন। নিজেরাও ছবি তোলেন। আর একটিতে ইমাম সাথে ভিডিও দেখেন এবং তাফসীরের সময় তার ভিডিও রেকর্ড করা হয়। এতে আমি জামাআতে নামায পড়া নিয়ে ভালো সংশয়ে পড়ে গেছি। আমাদের মার্কেট থেকে অনেক দূরে একটি মসজিদ আছে যেখানের ইমাম সাহেব ইউটিউব বা ভিডিও ইত্যাদি পছন্দ করেন না এবং নিজেও অহেতুক ছবি বা ভিডিও করা থেকে বিরত থাকেন। কিন্তু অত দূরে গিয়ে জোহর, আসর, মাগরিব ও এশা পড়তে গেলে এদিকে দোকানের মালিক রাগ করেন। কারণ পাশেই নামাযের জামাআত হয় আমাকে কেন এতদূরে যেতে হবে? আসলে বর্তমানে ছবি এত ব্যাপক হয়েছে যে, সাধারণ মানুষকে এটি যে একটি গুনাহ তা বুঝানোই মুশকিল। কারণ তাদের একটিই কথা এত বড় বড় আলেমরা, চরমনাই সহ আরো অনেক আলেম যাদেরকে হক মনে করা হয় তারাও নির্দ্বিধায় তাদের ওয়াজের ভিডিও করে যাচ্ছেন। এক্ষেত্রে আমাদের করণীয় কি? বিশেষ করে আমি যদি জামাআতে নামায পড়তে চাই আর আমার সব সময় অতদূরে যাওয়া সম্ভব না হয় তবে কি পাশের ইমামদের পিছনেই নামায পড়বো নাকি একা একা পড়ে নিব? বিষয়টি মহব্বতের সাথে বিস্তারিত বুঝিয়ে লিখলে উপকৃত হব।
উত্তর :ডিজিটাল ফটোগ্রাফি একটি মতবিরোধপূর্ণ মাসআলা। উপমহাদেশের অধিকাংশ উলামায়ে কেরাম এখনো তা নাজায়েয মনে করেন। তবে বেশ কিছু নির্ভরযোগ্য উলামায়ে কেরাম তা জায়েয মনে করেন। যার মধ্যে বিশ্ববিখ্যাত আলেমে দ্বীন শাইখুল ইসলাম আল্লামা তাকী উসমানী সাহেব অন্যতম। তাই আপনি নির্দ্বিধায় উক্ত আলেমদের পিছনে নামায আদায় করতে পারেন। কোন সমস্যা হবে না ইংশাআল্লাহ।