প্রশ্ন : ১। হুজুর হিন্দু কিংবা মুসলিমদের তৈরী শিরকযুক্ত সিনেমা যদি আমি কাউকে দেই এবং তারা যদি তা দেখে শিরক করে তবে কি আমারও আমলনামায় গুনাহে জারিয়া হিসেবে শিরকের গুনাহ লিখা হবে? এর ফলে কি আমি শিরক না করেও ইসলাম থেকে বের হয়ে যাব? ২। মানুষের ১ টাকা অন্যায়ভাবে নিলে পরকালে কেমন সওয়াব তার আমলনামা থেকে প্রাপক ব্যক্তির আমলনামায় দিতে হবে? ৩। ঐ ১ টাকা সদকাহ করলে যে পরিমান সওয়াব পাওয়া যেত সেই পরিমান? ৪। একজন বলেছে ৭০০ রাকাআত নামাযের ছাওয়াব নাকি ১ টাকার জন্য দিতে হবে? কোনটা সঠিক? ৫। মসজিদের ওজুখানায় মাঝে মাঝে কেউ সাবান রাখে আবার নিয়ে যায়। এখন আর উক্ত সাবান নেই। আমি বেশ কয়েকবার তা দিয়ে হাত ধুয়েছি। পরে মনে হল এটা তো ব্যক্তিগত সম্পত্তি। এভাবে আমার হাত ধোয়া ঠিক হয়নি। এখন কিভাবে তওবা করব? এখন মসজিদে সবার কাছে প্রচার করা কি জরুরী যে, উক্ত সাবানের মালিক কে?
উত্তর :১। নিম্নোক্ত লিঙ্কে আপনার উত্তর তো একবার দেওয়া হয়েছে। আবার একই প্রশ্ন কেন?
http://muftihusain.com/ask-me-details/?poId=4050
২। কুরআন বা হাদীসে এ বিষয়ে স্পষ্ট কিছু নেই। আল্লাহ তাআলাই ভালো জানেন। তার ইলমই কেবল পরিপূর্ণ।
৩। যুক্তির আলোকে তো তা-ই বুঝে আসে। আল্লাহ তাআলাই ভালো জানেন।
৪। ভিত্তিহীন।
৫। অন্যের সম্পদ বিনা অনুমতিতে ব্যবহার করা অনেক বড় গুনাহের কাজ। যদি কোনভাবে মুল মালিকের সন্ধান পাওয়া যায় তবে তার নিকট থেকেই অনুমতি নিতে হবে। পাশাপাশি আল্লাহ তাআলার নিকট খালেছভাবে তাওবা করে নিতে হবে। আর মালিক পাওয়া না গেলে সামান্য কিছু টাকা তাকে ছাওয়াব পৌঁছানোর নিয়তে সদকাহ করে দিবেন। পাশাপাশি আল্লাহ তাআলার নিকট খালেছভাবে তাওবা করে নিবেন।-রদ্দুল মুহতার ৫/২৩৫; ফাতাওয়া উসমানী ৩/১২০, ১২১