প্রশ্ন : আসসালামু আলাইকুম, ১। আমি একজন বিকাশ, রকেট ও নগদ এজেন্ট। পাশাপাশি ফ্লেক্সীলোড ও সীম বিক্রেতা। আমি ইতিমধ্যে আপনাদের প্রশ্ন উত্তর সেকশন অনেক উওর জানতে পেরেছি। এখন আমি জানতে চাচ্ছি যে, নগদ উদ্যোক্তা এজেন্ট সীম এ যদি ৫০০০ টাকা দিন শেষে ব্যালেন্স থাকে তাহলে বাৎসরিক ১০% হারে মুনাফা দেয়। এই মুনাফা কি নিতে পারবো? আর এই উদ্যোক্তা সীম এটি বন্ধ করার কোন অপশন নাই অটোমেটিক মুনাফা চলে আসে। ২। নগদে যে নতুন একাউন্ট খুলা হয় সেই একাউন্টে যদি ব্যালেন্স থাকে সেটার কমিশনও মাস শেষে উদ্যোক্তা একাউন্টে যোগ হয়ে যায়। নগদ ডাক বিভাগ এর একটি প্রতিষ্ঠান। তারা বলছে এটি মুনাফা আসলেই কি মুনাফা? ৩। আরেকটি প্রশ্ন তা হলো ফ্লেক্সীলোড করার সময় অনেক কাস্টমার ১ টাকা রেখে চলে যায়। যেমন ২৯,৩৯,৯৯ যথাক্রমে ৩০,৪০,১০০ দিয়ে যায়। মোবাইল অপারেটর কোম্পানিগুলো এরকম অফার দেয় যার ফলে বাধ্য হয়ে ভাংতি না থাকায় রাখতে হয়। আর কোন কোন কাস্টমার ১ টাকা ফেরত নিতে চায় না এমতাবস্থায় কি করতে পারি? এই ১ টাকা কি নেয়া জায়েয হবে? ৪। আরেকটি প্রশ্ন তা হলো, আমি যে উপরোক্ত তিনটি ব্যবসা (বিকাশ, রকেট, নগদ/ ফ্লেক্সীলোড/ সিম বিক্রি) করছি তা কি হালাল ব্যবসা বলে গণ্য হবে কিনা? আমি খুবই হতাশ। দয়া করে উত্তর দিলে খুব উপকৃত হবো।
উত্তর :ওয়া আলাইকুমুস সালাম
১+২। উভয়ক্ষেত্রে মুনাফার নামে যা আসে তা স্পষ্ট সূদ। যা গ্রহণ করা হারাম। যদি বিকাশের ন্যায় সূদ বন্ধের কোন অপশন থাকে তবে ব্যবসা করা জায়েয হবে। আর সূদ বন্ধের কোন অপশন না থাকলে তা করা জায়েয হবে না।
৩। গ্রাহক স্বেচ্ছায় খুশি মনে ছেড়ে গেলে বৈধ। আর ভাংতি না থাকার ক্ষেত্রে শুরুতেই গ্রাহককে বলে দিতে পারেন ২৯ টাকার লোডের জন্য ৩০ টাকা দিতে হবে। এমনটি করা হলেও কোন অসুবিধা নেই।
৪। নগদের কথা তো বলা হল। অনুরূপভাবে বিকাশ ও রকেটে যদি সূদ বন্ধ করে কর্তৃপক্ষের নির্দেশনা অনুযায়ী ব্যবসা করা হয় তবে জায়েয। সূদ জারি থাকলে বা সূদ বন্ধের কোন ব্যবস্থা না থাকলে এগুলো করাও জায়েয হবে না।
সূত্রসমূহঃ সূরা বাকারাহ, আয়াত নং ২৭৫; সহীহু মুসলিম, হাদীস নং ৪১৭৬; আল বাহরুর রায়েক ৬/৩৪৪; মাবসূতে সারাখসী ৭/৬৭ (শামেলা)