প্রশ্ন : আসসালামু আলাইকুম হযরত আমার প্রশ্ন গুলো হলো:-১। কারো যদি গোসল ফরজ হয় এমতাবস্থায় পানি পাওয়া যাচ্ছে না ট্যাংক এ পানি নেই বা বিদ্যুৎ নেই,কাছে পানির ব্যবস্থা নেই। সফরের পথ। সাময়িক সময়ের জন্য এমন। এই দিকে ফজর বা কোনো নামাজের ওয়াক্ত শেষ হয়ে যাচ্ছে এই ক্ষেত্রে করণীয় কি? পানি হয়তো যখন পাওয়া যাবে তখন ওয়াক্ত থাকবে না! অন্য ওয়াক্ত এসে যাবে এই পেরেশানী হালতে কি করণীয়? ২। হযরত যারা পুলিশ বা এক কথায় রাষ্ট্রের নিরাপত্তা দেয় নামাযরত মুসুল্লিদের। এই জন্য কি এদের থেকে নামাজ বা রোজা মাফ? উনারা কি নামাজ না পড়লেও হবে? জুম্মার নামাজ বা তারাবী বা কোনো নামাজ? ৩। ফজরের আযানের কয়েক মিনিট পূর্বে সেহরি খাওয়া বন্ধ হয়। এমন সময় কি তাহাজ্জুদ ২ রাকাত নামায পড়লে হবে?
উত্তর :ওয়া আলাইকুমুস সালাম
১। এক মাইলের মধ্যে পানি পাওয়া গেলে তায়াম্মুম করা জায়েয নয়। কাজেই যদি কারো গোসল ফরয হয় এবং গোসল করতে তার শরয়ী কোন ওজর না থাকে (যেমন মারাত্মক অসুস্থতা বা এক মাইলের মধ্যে পানি না পাওয়া) তাহলে এমতাবস্থায় সে যে স্থানেই থাকুক না কেন তার জন্য গোসল করে নামায পড়া জরুরী। এক মাইলের মধ্যে পানি পাওয়া গেলে তায়াম্মুম করে নামায পড়া জায়েয হবে না। এক্ষেত্রে যদি গোসল করার কারণে নামায ক্বাযাও হয়ে যায় তাহলেও তায়াম্মুম করে নামায পড়া জায়েয হবে না।
২। যারা পুলিশ বা রাষ্ট্রের নিরাপত্তার কাজে নিয়োজিত তাদেরও নামায ও রোযা অন্যান্যদের ন্যায় ফরজ। তবে এক্ষেত্রে তারা জরুরী দায়িত্ব পালনের কারণে কখনো জামাআতে শরীক হতে না পারলে ওয়াক্তের ভিতরে অবশ্যই নামায আদায় করে নিবে। এসকল দায়িত্বের কারণে নামায ক্বাযা করা বৈধ হবে না।
৩। সুবহে সাদেকের পূর্বে আপনি দুই রাকাআত তাহাজ্জুদের নামায পড়তে পারবেন। আর সুবহে সাদেক শুরু হয়ে গেলে অর্থাৎ ফজরের ওয়াক্ত শুরু হয়ে গেলে আর পড়া যাবে না। রমযানে মুআজ্জিন সাধারণত ফজরের ওয়াক্ত হবার কয়েক মিনিট পরেই আযান দিয়ে থাকে। তাই ক্যালেন্ডার দেখে ফজরের ওয়াক্ত হবার পূর্বেই তাহাজ্জুদের নামায শেষ করুন। আযানের উপর নির্ভর করবেন না।
সুত্রসমূহঃ সূরা নিসা, আয়াত নং ১০৩; রদ্দুল মুহতার ১/২৩৪; আল-বাহরুর রায়েক ৪/১৯৪; হাশিয়ায়ে তাহতাবী আলাল মারাকী, পৃষ্ঠা নং ৪৪০; হিদায়া ১/৫৪-৫৫