প্রশ্ন : প্রশ্ন উত্তর প্রদানকারী মুফতী সাহেবের নাম এবং উনার কর্মস্থান বা ইফতা বিভাগের নাম লিখে দিলে মানুষের কাছে গ্রহনযোগ্যতা বাড়বে ইনশাআল্লাহ। ধন্যবাদান্তে, মোহাম্মদ ইমতিয়াজ হোসেন।
উত্তর :আসলে সাইটে আমার পরিপূর্ণ নাম ঠিকানা এমনকি সংক্ষিপ্ত জীবনী পর্যন্ত দেওয়া রয়েছে। যদিও সংক্ষিপ্ত জীবনীতে একটু আপডেট প্রয়োজন। নেভিগেশন মেন্যুতে সংক্ষিপ্ত জীবনী নামক একটি স্বতন্ত্র বাটনই দেওয়া রয়েছে। যারা ল্যাপটপ বা ডেস্কটপ ব্যবহার করেন তারা বিষয়টি জানেন বা দেখেছেন। তবে সমস্যা হল স্মার্টফোনে টেকনিক্যাল সমস্যার কারণে নেভিগেশন মেন্যু আসে না। অবশ্য এর কাজ চলছে। কয়েকদিনের মধ্যেই তা স্মার্টফোনেও দেখা যাবে। বিগত চার বছর ধরে আমি গোপালগঞ্জের সদরে অবস্থিত চন্দ্রদিঘলিয়া মাদ্রাসায় প্রধান মুফতী ও শাইখুল হাদীসের দায়িত্ব পালন করে আসছিলাম। এবছর থেকে (অর্থাৎ আসন্ন রমযান থেকে) আমি ঢাকায় থাকছি। ঢাকার পশ্চিম আগারগাও এর একটি মসজিদ ও মাদ্রাসার খেদমতে থাকব ইংশাআল্লাহ। অবশ্য বিষয়টি এখনো (muftihusain.com পরিবারের) কাউকে জানানো হয়নি। ওনেকদিন থেকেই আমার বেশ কিছু শুভাকাঙ্ক্ষী আমার ঢাকায় আসার ব্যাপারে আবেদন জানিয়ে আসছিলেন। বিষয়টি জেনে তারাও হয়তোবা খুশি হবেন।
এর পাশাপাশি আমার আরেকটি প্রতিষ্ঠান (ইফতা বা ফতোয়া বিভাগ) রয়েছে। যেখানে দুই বছরের ইফতা কোর্স রয়েছে। এখান থেকে দুই বছর পড়াশোনার পর ছাত্ররা মুফতী হয়ে বের হয়। প্রতিষ্ঠানটির আমি পরিচালক।
প্রিয় দ্বীনী ভাই, আপনার কথাটি অবশ্যই যুক্তিসঙ্গত এবং গুরুত্বপূর্ণ। এর গুরুত্ব অনুভব করেই প্রথম দিন থেকেই সাইটে নিজের সংক্ষিপ্ত জীবনী প্রকাশ করেছিলাম। নিম্নে তা হুবহু তুলে দিলাম-
(নাম – মুহাম্মাদ আবুল হুসাইন। পিতা – মুহাম্মাদ জাহিদুর রহমান। তিনি ১৯৮৪ সালে ১০ই এপ্রিল একটি সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। প্রথমে তিনি সাধারণ শিক্ষায় শিক্ষিত হন । তিনি পর্যায়ক্রমে ২০০০ ইং ও ২০০২ ইং সনে মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষায় বিজ্ঞান বিভাগ থেকে অত্যন্ত সুনামের সাথে কৃতকার্য লাভ করেন। অতঃপর তিনি শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, সিলেট এ পরিসখ্যান বিভাগে বি, এ অনার্সে ভর্তি হন। এর মধ্যে হযরত মাওলানা মুফতী মনসূরুল হক সাহেব (দাঃবাঃ)এর সাথে তার সম্পর্ক গড়ে উঠে। তার সংস্পর্শে আসার সাথে সাথে তার এলেমের প্রতি সীমাহীন আগ্রহ সৃষ্টি হয়। অতঃপর জীবনের ধারা পাল্টে যায়। বিশ্ববিদ্যালয়ে মাত্র এক সেমিস্টার শেষ করেই তিনি সাধারণ শিক্ষা ত্যাগ করে কওমি মাদ্রাসায় ভর্তি হন। প্রথমে তিনি মিরপুর পল্লবীতে অবস্থিত মাদ্রাসা দারুর রাশাদ এ ভর্তি হন। সেখানে এক বছর লেখাপড়া করার পর মোহাম্মাদপুরে অবস্থিত ঐতিহ্যবাহী জামিয়া রাহমানিয়া আরাবিয়ায় ভর্তি হন। সেখান থেকে অত্যন্ত সুনামের সাথে ২০০৯ সনে দাওরায়ে হাদীস (মাষ্টার্স) সম্পন্ন করেন। এর পর তিনি অত্র জামেআতেই ইসলামী আইন তথা আল-ফিকহুল ইসলামী এর উপর দুই বছর পড়াশোনা করে মুফতী সনদ অর্জন করেন। অতঃপর অত্র জামেআতেই উলূমুল হাদীস তথা উচ্চতর হাদীস গবেষনাতে দুই বছর অধ্যয়ন করে অত্যন্ত সুনামের সাথে কৃতকার্য হন।
শিক্ষাজীবন শেষ করে নড়াইল জেলায় অবস্থিত ঐতিহ্যবাহী আল-জামেয়াতুল ইসলামিয়া আশরাফুল উলূম শামুকখোলা মাদ্রাসায় ২০১৩-২০১৫ পর্যন্ত প্রধান মুফতি ও প্রধান মুহাদ্দিস এর দায়িত্ব অত্যন্ত সুনামের সাথে পালন করেন।)
সাইটের লিঙ্ক- http://muftihusain.com/সংক্ষিপ্ত-জীবনী/