প্রশ্ন : আসসালামু আলাইকুম হযরত আমার প্রশ্ন হচ্ছে মসজিদ অথবা মাদরাসা নির্মাণের জন্য সরকারি ফান্ড থেকে অনুদান নেওয়ার জন্য সরকারি কর্মকর্তাদের কিছু টাকা ঘুষ দিতে হয়। তারপর তারা সেই অনুদানটা দেয়। আমার কথা হল, সেই অনুদানের টাকা দিয়ে মসজিদ মাদরাসার নির্মাণ কাজ করা জায়েয আছে কি? মনে করুন সরকারি ফান্ড থেকে আমাদের মসজিদে ৩ লাখ টাকা দিবে। এখন এই টাকা তুলে আনতে হলে তাদেরকে ৫০ হাজার টাকা ঘুষ দিতে হবে। এখন এই টাকা তুলে মসজিদ করা জায়েয আছে কি?
উত্তর :ওয়া আলাইকুমুস সালাম
প্রিয় দ্বীনী ভাই, প্রশ্নের উত্তর দিতে কিছুটা বিলম্ব হওয়ায় আন্তরিকভাবে দুঃখিত।
ঘুষ একটি জঘন্যতম গুনাহ। যারা ঘুষ দেয় এবং নেয় উভয়ের প্রতি হাদীস শরীফে লানত এসেছে। মসজিদ মাদ্রাসার ন্যায় পবিত্র ও বরকতময় কাজে ঘুষের মত জঘন্যতম জিনিসের আশ্রয় না নেওয়াই কর্তব্য। জনসাধারণের অনুদানে এগুলো যেমনিভাবে চলে তেমনিভাবেই চালানো উচিত। তাছাড়া মসজিদ মাদ্রাসার ফান্ডের টাকা থেকে ঘুষ দেওয়া কখনোই জায়েয হবে না। অথচ দেখা যায় শুরুতেই মসজিদের টাকার একটা অংশ ঘুষে চলে যায়। আর মানুষের দ্বীনদারীর যে কি অবস্থা তা দেখে হতবাক হতে হয়। এখন মসজিদ, মাদ্রাসা ও এতীমদের সম্পদও নিরাপদ নয়। কাজেই যদি ঘুষ ব্যতীত টাকা পাওয়া যায় তবেই এর ফিকির করা উচিত। আর যদি উক্ত টাকা ঘুষের বিনিময়ে নেওয়া হয়েই থাকে তবে তা মসজিদ বা মাদ্রাসায় ব্যবহার করতে কোন অসুবিধা নেই। সেক্ষেত্রে ঘুষের সাথে জড়িত হওয়ার দরূন আল্লাহ তাআলার নিকট খালেছভাবে তাওবা করে নিবে।–সুনানে আবূ দাউদ, হাদীস নং ৩৫৮২; জামে তিরমিজী, হাদীস নং ১৩৩৬