প্রশ্ন : উত্তরটি একটু তাড়াতাড়ি দিয়ে (আল্লাহ চাহে তো) এই অধমের দুশ্চিন্তা থেকে মুক্ত করবেন আসসালামু আলাইকুম, আমি আপনার কথা মত জীবনের প্রথম ভোট দিতে গিয়ে খুবই হতাশাগ্রস্ত হয়েছি। ঘটনাটি হলো: ফজরের নামায পড়ে আর ঘুমাই নাই। প্রচন্ড শীতের মধ্যে প্রথমে ভোট দেয়ার জন্য লাইন ধরলাম। অনেক্ষন পর ভিতরে ঢুকলাম ঢোকার পরই আমার বাম হাতে মার্কার কলম দিয়ে কালো দাগ দিয়ে দিলো। তারপর বললো আপনার ভোট হয়ে গেছে ! ভিতরে ৪জন কর্মকর্তা ছিল। আমি বললাম- ভাই আমি তো প্রথমে ঢুকলাম তো আমার ভোট কে দিলো ? তারা বললো ভোট হয়ে গেছে। তারপর অনেক্ষন কথা কাটাকাটি হয়। তারপর নিরুপায় হয়ে তাদেরকে বললাম “হাশরের ময়দানে আপনাদের বিরুদ্ধে আল্লাহর কাছে মামলা করবো”। ১। আমি যে বললাম- “হাশরের ময়দানে আপনাদের বিরুদ্ধে আল্লাহর কাছে মামলা করবো”এতে আমার কি কোন গুনাহ হবে ? ২। আমি তো জুলুমের শিকার হয়েছি। সেক্ষেত্রে আমার জন্য ইসলাম কি বলে এবং আমার করনীয় কি? ৩। যারা আমার ভোট দিয়ে জুলুম করলো তাদের সম্পর্কে ইসলাম কি বলে? এবং এর দায়ভার কাদের কাদের উপর বর্তাবে? নামাযে মনোযোগ পাচ্ছি না শুধু ভোটের দৃশ্য ভেসে উঠে। এবং খুবই অশ্বস্তিতে আমার সময় কাটছে। অনেক অজীফা আদায় করছি তারপরও মনোযোগ পাচ্ছি না। মনে হয় ভোট দিতে না গেলেই ভালো হতো।

উত্তর :

ওয়া আলাইকুমুস সালাম
নাম ঠিকানা বিহীন এধরণের প্রশ্ন না করার অনুরোধ রইল। আর সালাম সবার পূর্বে দিতে হয়।
১। না।
২। পারলে খেয়ানত বন্ধ করা। অন্যথায় সাধ্যমত প্রতিবাদ করা। আর তা তো আপনি করেছেন।
৩। যারা এর সাথে সম্পৃক্ত তারা আমানতের খেয়ানত করেছে। আল্লাহ তাআলার নিকট এর হিসাব তাদেরকে দিতে হবে।
উল্লেখ্য যে, একজনের ভোট অন্যজন দেওয়া চরম আমানতের খেয়ানত এবং মারাত্মক গুনাহের কাজ।
আর নামাযে মনোযোগ না পাওয়ার কি কারণ? দুনিয়াতে কত কি-ই তো ঘটতে থাকবে। এর জন্য কি ইবাদাতে বিঘ্ন ঘটবে? কাজেই আপনি ইবাদাতে পরিপূর্ণ মনোনিবেশ করুন।–সূরা নিসা, আয়াত ৫৮; মুসনাদে আহমাদ, হাদীস নং ১২৩৮২

Loading