প্রশ্ন : ১। আমি নামায পড়তে গেলে আমার মনে হয় আমি আউজুবিল্লাহ বিসমিল্লাহ পড়ি নাই যদিও পড়ে থাকি, সিজদা দুইটা দিলেও মনে হয় একটা দিছি, এক সূরা বার বার পড়ি মনে হই ভুল হইছে, নামায এর শুরুতে বিসমিল্লাহ পড়লেও মনে হয় পড়ি নাই। এসব কারনে আমার নামায পড়তে অনেক সময় লাগে। এক্ষেত্রে আমার কি করনীয়? আর এই সমস্যার সমাধান কি? ২। নামাযের প্রথম রাকাআত যদি আমি যাওয়ার আগেই শুরু হয়ে যায় সেক্ষেত্রে কি আমি নামাযের পুরা নিয়ত করে নামায শুরু করব নাকি হাত তুলে নিয়ত না পড়ে হাত বাঁধব? আর সে সময় কি সানা পড়া লাগবে? ৩। ক্বাযা নামায কি মুল নামায এর আগেই পড়তে হবে? পরে কি পড়া যায় না? ধরুন আমি ফজরের নামায পড়ি নাই। এখন যোহরের নামায এর সময় ক্বাযা করব। কিন্তু আমি যোহরের নামায মসজিদে জামাআতে আদায় করতে গিয়ে দেখি জামাআত শুরু হয়ে গিয়েছে সেক্ষেত্রে কি ফজরের ক্বাযাটা যোহর নামায শেষ করে পড়ে নিব?
উত্তর :১। প্রশ্ন থেকে বুঝে আসে আপনি ওয়াসওয়াসার রোগে আক্রান্ত। এর চিকিৎসা হল আপনি এগুলোর প্রতি কোন ভ্রুক্ষেপ করবেন না। আপনি এগুলোর যত গুরুত্ব দিবেন তত দিনদিন বাড়তে থাকবে। তাছাড়া আউজুবিল্লাহ বিসমিল্লাহ না পড়লে নামায নষ্ট হয় না। যখনি আপনার এমন চিন্তা আসবে আপনি মনে মনে বলবেন আমি আউজুবিল্লাহ বিসমিল্লাহ ছাড়াই নামায পড়ব। দেখবেন ধীরে ধীরে তা চলে যাবে। আর গুরুত্ব দিতে থাকলে আপনাকে বেনামাযী বানিয়ে ছাড়বে। আপনি নিম্নোক্ত লিঙ্ক থেকে আরো বিস্তারিত জানতে পারবেন-
http://muftihusain.com/ask-me-details/?poId=1212
২। আসলে নিয়ত হল অন্তরের চিন্তা। মুখে নিয়ত করা জরুরী নয়। আর মুখে একান্ত করতেই হলে “আমি এই ইমামের পিছনে যোহরের ফরজ নামায আদায় করছি বলাই” যথেষ্ট।
আর ইমাম সাহেব কিরাআত শুরু করে দিলে তখন আর ছানা পড়বে না।
৩। নিম্নোক্ত লিঙ্ক দুটিতে আপনি আপনার উত্তর পেয়ে যাবেন ইংশাআল্লাহ-
http://muftihusain.com/ask-me-details/?poId=1557
http://muftihusain.com/ask-me-details/?poId=2663