প্রশ্ন : ১। ইমামের সাথে তিন অথবা দুই রাকাআত পেলে, ইমাম সাহেবের শেষ বৈঠকের সময় আমি কি শুধু তাশাহুদ পড়ব, নাকি তাশাহুদ, দুরূদ, দুআ মাছূরা সব পড়ব? ২। রুকূর কতটুকু পেলে ঐ রাকাআত পেয়েছি বলে বিবেচিত হবে? ৩। যদি আমি দেখি কারো নামায সুন্নাত মোতাবেক হচ্ছে না, অথবা ওয়াজিব পালন করছে না, এতে কি তাকে বলে দেয়া আমার জন্য ওয়াজীব বা ফরজ? এমন কিছু কি শরীয়তের হুকুম আমার উপর আছে? যদি থাকে, এমন অনেকে আছে বললে রাগ করে নিজেই অনেক জানে বুঝে বলে দাবি করে সেই ক্ষেত্রে কি করনীয়?

উত্তর :

১। শুধু তাশাহহুদ পড়বেন।–কিতাবুল আছার, পৃষ্ঠা ৫৬; হাশিয়ায়ে তাহতাবী আলাল মারাকী, পৃষ্ঠা ২৫০, ২৫১
২। ইমাম সাহেব রুকূ থেকে মাথা উঠানো শুরু করার পরেও যতক্ষণ পর্যন্ত তার হাত হাঁটু পর্যন্ত পৌঁছা থাকবে ততক্ষণের মধ্যে মুক্তাদী যদি এতটুকু পরিমাণ ঝুঁকে যে, তার হাত হাঁটু পর্যন্ত পৌঁছে যায় তবে উক্ত মুক্তাদী উক্ত রাকাআত পেয়েছে বলে গণ্য হবে। আর যদি মুক্তাদীর হাত হাঁটুতে পৌঁছানোর পূর্বেই ইমাম সাহেবের হাত হাঁটু থেকে পৃথক হয়ে উপরে চলে আসে তবে মুক্তাদী ঐ রাকাআত পেয়েছে বলে গণ্য হবে না।
উল্লেখ্য যে, এমতাবস্থায় ইমাম উঠে গেলেও মুক্তাদীর জন্য রুকূতে এক তাসবীহ পরিমাণ অপেক্ষা করা ওয়াজিব। এরপর তার জন্য অবশিষ্ট তাসবীহ না পড়ে দাঁড়িয়ে ইমামের অনুসরণ করা ওয়াজিব।–ফাতহুল কদীর ১/৪২১; আল বাহরুর রায়েক ১/২৯৩
৩। হ্যাঁ, এক্ষেত্রে তাকে একাকী অবস্থায় আদাব ও হেকমতের সাথে মাসআলা বুঝিয়ে দেওয়া কর্তব্য। বলার বা দাওয়াত দেওয়ার পরেও সে গ্রহন না করলে বা রাগান্বিত হলে আপনি অব্যাহতি পেয়ে যাবেন ইংশাআল্লাহ।–সহীহুল বুখারী, হাদীস নং ৫৭; সহীহ মুসলিম, হাদীস নং ১৮৬; সুনানে আবূ দাউদ, হাদীস নং ৪৯২০

Loading