প্রশ্ন : ঢাকা-রাজশাহী ট্রেনের লম্বা সফরে নামায কীভাবে আদায় করব? ট্রেনেই বসে পড়ে নিব? এতে যদি কিবলা পরিবর্তন হয়ে যায় এক্ষেত্রে শরীয়ত কি বলে?
উত্তর :ট্রেনে স্বাভাবিকভাবে যথানিয়মে খুব সহজেই নামায আদায় করা যায়। ট্রেনে তো নামাযের জন্য আলাদা বগি থাকে। তাছাড়া ট্রেনের দিক তুলনামূলক কম পরিবর্তন হওয়ায় এবং ঝাকাঝাকি বা নড়াচড়া কম হওয়ায় অনায়াসেই কিবলামুখী হয়ে দাঁড়িয়ে নামায আদায় করা যায়। আর কখনো সামানপত্র বেশি থাকার দরুন বা অন্য কোন কারনে নামাযের কামরায় যাওয়া সম্ভব না হলে সেক্ষেত্রেও করিডোরের মাঝে নামায আদায় করা যায়। আমি নিজেই একবার সস্ত্রীক রাজশাহী থেকে ঢাকা আসার সময় করিডোরের মাঝে নামায আদায় করেছি। যদিও ট্রেনে বেশ ভিড় ছিল। তবে মানুষকে নামাযের কথা বলায় তারা সহজেই চেপে দাঁড়িয়েছিল। পরে আমরা একে একে দুই দুই রাকাআত করে নামায আদায় করে নিলাম। আসলে পাক্কা ইরাদা ও হিম্মত থাকলে যে কোন জায়গাতেই নামায আদায় করা যায়।
সারকথা, ট্রেনে কিবলামুখী হয়ে এবং দাঁড়িয়ে যথা নিয়মে রুকু সিজদার মাধ্যমে নামায আদায় করবে। তবে যদি দাঁড়ানোর কারনে মাথায় চক্কর দেয় অথবা পড়ে যাওয়ার আশংকা হয় তবে বসে রুকু সিজদার মাধ্যমে নামায আদায় করবে। নামাযরত অবস্থায় ট্রেন ঘুরে গেলে নামাযীও সাথে সাথে ঘুরে যাবে।
আর যদি অসম্ভব ভিড় বা অন্য কোন করনে কিবলমুখী হয়ে নামায পড়া না যায় অথবা কিয়াম সম্ভব না হয় অথবা যথানিয়মে সিজদা না করা যায় এবং ওয়াক্তের মধ্যে সামনে কোন স্টেশনে নেমে নামায আদায় সম্ভব না হয় তবে যে কোনভাবে নামায পড়ে নিবে। এবং পরবর্তিতে উক্ত নামায দোহরিয়ে নিবে।- রদ্দুল মুহতার ২/৪১, ১/২৩৫; আদ্দুরুল মুখতার ১/৪২৭, ৪৪৫; আল বাহরুর রায়েক ১/৪৯৩, ২৪৮