প্রশ্ন : আসসালামু আলাইকুম। আমার বড় ভাই আছেন যিনি বিবাহিত এবং আমাদের ছেড়ে অন্য জায়গায় ভাড়া থাকেন। কিন্তু আমাদের সাথে এমনিতে সম্পর্ক আছে। ভাই একটা জায়গা কিনেন অনেক আগে। সেই জায়গার টাকা দেওয়া কিছু বাকি ছিল। সেই মুহূর্তে ভাইয়ের টাকার খুব প্রয়োজন ছিল। মার কাছে বলাতে মা আমার গলার একটা স্বর্ণের চেইন ছিল এবং মার কানের দুল ছিল, যা ভাইকে দিতে চান। ভাই যখন চেইন ও দুল নিতে আসেন তখন আমি মার দুলটা দিতে দেইনি। উল্টা আমার চেইন ও আমার কানের দুল দেই। ভাই বলেছিল ছয় মাসের মধ্যে চেইন, দুল দিয়ে দিবে। আনুমানিক বছরেরও বেশি হয়ে গেছে এখন। এখনও দেননি। ভাই নাকি কোন একটা স্বর্ণের দোকানে ওগুলা রেখে সুদীভিত্তিক টাকা নিয়েছিলেন। এর কারণে এখন পর্যন্ত নাকি সুদ দিতে হয়। এখন আমার প্রশ্ন হলো, যেহেতু চেইন দুল আমার তাই এই সুদী কারবারের গুনাহ কি আমারও হবে?

উত্তর :

ওয়া আলাইকুমুস সালাম

প্রশ্নের বর্ণনা দেখে মনে হয়, আপনার ভাই যে অলংকারগুলো স্বর্ণকারের নিকট রেখে সূদভিত্তিক লোন নিবেন এটা আপনি জানতেন না। সেক্ষেত্রে এর কোন দায় আপনার উপর বর্তাবে না।–সূরা আনআম, আয়াত ১৬৪

সম্পূরক প্রশ্নঃ

আসসালামু আলাইকুম। হুজুর, আমার চেইন দুল নিয়ে ভাই সুদভিত্তিক টাকা নেবেন এই ব্যাপারে আমি তখন অবগত ছিলাম কিনা এই ব্যাপারে আমার আপাতত স্মরণে আসছে না। তবে তিনি যে স্বর্ণকারের দোকানে রেখে টাকা নেবেন এটা জানতাম। যদি সুদের ব্যাপারে জেনেই থাকি তবে এর দায় কি আমার উপরও বর্তাবে? এই সুদের সাথে যদি কোনরকম আমার সহায়তা থেকে থাকে তবে এই গুনাহ থেকে বাঁচার উপায় কি?

উত্তরঃ

ওয়া আলাইকুমুস সালাম

তিনি স্বর্ণকারের নিকট বন্ধক রেখে সূদের ভিত্তিতে ঋণ নিবেন এটা স্পষ্ট জানার পরেও তাকে বন্ধক রাখার জন্য অলংকার দিয়ে থাকলে আপনি সূদী কারবারে সহযোগিতা করেছেন। কাজেই আল্লাহ তাআলার নিকট খালেছভাবে তাওবা করে নিবেন।–সূরা মায়েদাহ, আয়াত ২

Loading