প্রশ্ন : আসসালামু আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহ। সম্মানিত মুফতী সাহেব! অনুগ্রহপূর্বক নিম্নবর্ণিত সূরতে মাসআলার সমাধান দিয়ে বাধিত করবেন : ১। জনৈক মহিলার কাছে ২০১৭ সনের ২০ রমযান ৩ ভরি স্বর্ণের অলংকার ও ১০০ টাকা ছিলো। উক্ত স্বর্ণালংকারের বাজারমূল্য ছিলো উদাহরণত ৯০০০০ (নব্বই হাজার) টাকা। তাহলে উক্ত ৯০০০০ ও ১০০ টাকা মিলে দাঁড়ায় ৯০১০০ টাকা, যা বর্তমান বাজারদর অনুপাতে রূপার নেসাব পূর্ণ করে। এই নেসাবের উপর ১ বছর অতিবাহিত হওয়ার ক্ষেত্রে, ২০১৮ সালের ২০ রমযান দেখা গেলো, উক্ত মহিলার কাছে শুধু ৩ ভরি স্বর্ণের অলংকার আছে বটে, কিন্তু হাতে নগদ কোন অর্থ নেই। এমনকি একটি টাকাও নেই। ধরুন, ২০১৮ সালের ১৮ বা ১৯ রমযান পর্যন্তও টাকা ছিলো। কিন্তু ২০ রমযানে (যেদিন বছর পূর্ণ হওয়ার কথা) কোন টাকা নেই। কারো কাছে কোন পাওনাও নেই। বছরের মাঝখানে কখনো টাকা ছিল, আবার কখনো ছিল না। প্রশ্ন হল, এই মহিলার উপর কি যাকাত ফরজ হবে? তার নেসাবের উপর কি বছর পূর্ণ হয়েছে ধরা হবে? ২। আবার ২৫ বা ৩০ রমযানের দিকে হাতে কিছু টাকা এল। তাহলে কি তার জন্য ২১ রমযান থেকে নতুন বছরের হিসেব শুরু হবে? নাকি আগের বছর পূর্ণ হয়ে যাকাত ফরজ হবে? ৩। এখন যদি নিয়মতান্ত্রিকভাবেও বছর পূর্ণ হয়ে যাকাত ফরজ হয়, তাহলে সে কিভাবে যাকাত আদায় করবে? তার কাছে তো যাকাত আদায়ের মতো কোন অর্থ নেই। তবে কি ঐ অলংকার বিক্রি করে যাকাত দিতে হবে? নাকি তার পক্ষ থেকে স্বামী আদায় করে দিলে আদায় হয়ে যাবে? (সুরতে মাসয়ালা বুঝাতে গিয়ে কথা অনেক দীর্ঘ হয়ে গেছে। সেজন্য আন্তরিকভাবে দু:খিত। প্রশ্নগুলোর উওর জানা খুবই প্রয়োজন।)
উত্তর :ওয়া আলাইকুমুস সালাম ওয়া রহমাতুল্লাহ
১। বছর পুরা হবার দিন যদি শুধুমাত্র ৩ ভরি স্বর্ণ থাকে আর যাকাতযোগ্য কোন কিছু না থাকে তবে তার উপর যাকাত ফরজ হবে না। কেননা যাকাত ফরজ হবার জন্য বছরের শুরুতে এবং শেষে নেসাব থাকা জরুরী।
উল্লেখ্য যে, ২০ রমযান নেসাবের মালিক হলে পরের বছর ১৯ রমযান তার বছর পুরা হবে। ২০ রমযান নয়।
২। নতুন করে যেদিন নেসাবের মালিক হবে সেদিন থেকেই ধর্তব্য হবে। কাজেই প্রশ্নোক্ত ক্ষেত্রে যদি ২৫ রমযান হাতে কিছু টাকা আসে তবে ২৫ রমযানেই সে নতুন করে নেসাবের মালিক হবে।
৩। তার অনুমতিসাপেক্ষে স্বামী বা অন্য কেউ আদায় করলে আদায় হয়ে যাবে। অন্যথায় ঐ অলংকার থেকেই যাকাত আদায় করবে যদি তার অন্য কিছু না থাকে।
সূত্রসমূহঃ রদ্দুল মুহতার ২/৩০৩; তাবয়ীনুল হাকায়েক ২/৮০