প্রশ্ন : আসসালামু আলাইকুম। হযরত আমি একটি মুদি দোকান থেকে সবসময় সদাই নেই। আমি তাকে বেতন পেয়ে আগেই ৩০০০-৪০০০ হাজার টাকা দিয়ে রাখি যাতে মাস শেষে টাকা দিতে কষ্ট না হয়। গত মাসেও ৫০০০ টাকা দিয়েছিলাম এবং তার থেকে প্রায় সেই পরিমানই সদাই নিয়েছি। কিন্তু এ মাসে সে আমার মামার থেকে ১০০০০/- টাকা ধার চাইলে আমি মনে করলাম ব্যাংকে পড়ে থাকার চেয়ে তার কাছে যদি ঋণ দেই তবে অন্তত কিছু টাকা ব্যাংক থেকে উঠে হালাল কাজে লেগে থাকলো এছাড়া করর্জে হাসানার সওয়াব ও হলো। তাই আমি গত দিন তাকে ১০০০০/- টাকা ধার দিয়েছি। কিন্তু গতকাল যখন আমি তার থেকে মাল নিচ্ছিলাম তখন সে বললো ভাই আমি আপনার থেকে কোন লাভ রাখিনা আর রাখলেও খুব সামান্য। কারণ আমি মনে করি আপনি অগ্রিম টাকা দিয়ে মাল কিনে রাখেন আর সেটাই সারা মাস নেন। আমি তাকে বললাম এভাবে বললে তো সুদ হবে কারণ আমি আপনাকে এ মাসে ১০০০০/- টাকা ধার দিয়েছি এবং এ মাসে অন্যান্য মাসের মত কোন টাকা নিজের জন্য জমা করি নাই। তাই ধার দিয়ে সুবিধা নিলে তা সুদ হয়। সুতরাং আপনি এই নিয়তে দিতে পারেন যে আমি রায়হান ভাইয়ের কাছে আমার মাল আমি ইচ্ছাকৃত ভাবে খুশি হয়ে কমে বিক্রয় করলা। তখন সে এতে রাজি হয়। আর আমি এ মাস থেকে নিয়ত করেছি প্রথমে বাকি নিবো এবং বাকি যা হয় তা মাস শেষে পরিশোধ করবো। আর যে ১০০০০/- টাকা তাকে ধার দিয়েছি তা তাকে বলেছি যে, এটা আমার খরচের সাথে মিলাবেন না কারণ এটা ব্যবসায়ের টাকা তাই এটা আমাকে আলাদা ভাবে ফিরত দিবেন। এখন আমার জন্য কি করণীয়? আমার প্রশ্ন এখনোও কি সুদ হবে? আর যদি হয় তবে তা থেকে বাচার উপায় কি? কারণ তার দোকান থেকে মাল নিলে সে সাধারণ ভাবে কিছু কম রাখতে পারে যা সব সময় হয়তো আমি জানবো না। জাযাকাল্লাহু খাইরন ফিদ দারাইন।
উত্তর :ওয়া আলাইকুমুস সালাম
প্রশ্ন থেকে বুঝে আসে দোকানদার প্রতি মাসে অগ্রিম টাকা প্রদানের জন্য লাভ কিছুটা কম নিয়ে থাকে। এতে কোন সমস্যা নেই। তবে সদাই গ্রহনের সময় প্রতিটি পণ্যের মূল্য জেনে নিবেন।–রদ্দুল মুহতার ৪/৫১৬; মুফতী তাকী উসমানী, ফিকহী মাকালাত ৩/২৩৫-২৫৯