প্রশ্ন : আসসালামু আলাইকুম, নিচের হাদীসটি কি সব সলাতের জন্য প্রযোজ্য (যেমন: ফরজ, ওয়াজিব, সুন্নত, নফল এবং জামাতে সলাত আদায় করা অবস্থায়)? একদিন ওছমান বিন আবুল আছ (রাঃ) রাসূল (ছাঃ)-কে বললেন, ‘হে আল্লাহর রাসূল! শয়তান আমার এবং আমার ছালাত ও ক্বিরাআতের মাঝে প্রতিবন্ধকতা এবং ছালাতে সন্দেহ সৃষ্টি করে। রাসূল (ছাঃ) বললেন, এ শয়তানটিকে খিনযিব বলা হয়। যখন তুমি এর প্ররোচনা বুঝতে পারবে, আল্লাহর কাছে পানাহ চাইবে এবং বাম দিকে তিনবার থুক মারবে। তিনি বলেন, আমি এমনটি করেছি, আল্লাহ তাআলা আমার থেকে শয়তানের ওয়াসওয়াসা দূর করে দিয়েছেন।[সহীহ মুসলিম, হাদীস নং ২২০৩]
উত্তর :ওয়া আলাইকুমুস সালাম
হাদীসটি সকল নামাযের জন্যই প্রযোজ্য। তবে মোল্লা আলী কারী (রহঃ) তার মেশকাত শরীফের অনবদ্য ব্যাখ্যাগ্রন্থ “মিরকাতুল মাফাতীহ” তে উক্ত হাদীসের ব্যাখ্যায় লিখেছেন “শয়তান আমার এবং আমার নামায ও ক্বিরাআতের মাঝে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করে” এর অর্থ হল শয়তান আমার নামায ও কিরাআত শুরু করতে বাধা সৃষ্টি করে। অর্থাৎ শয়তান আমাকে নামায শুরুই করতে দেয় না। তখন রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তাকে হাদীসে বর্ণিত আমলের কথা বলেছেন। অথবা হাদীস দ্বারা উদ্দেশ্য হল নামাযে শয়তান কখনো এমন প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করলে নামায শেষ করে উক্ত আমল করবে। কেননা নামাযরত অবস্থায় এজন্যই হাদীসটি প্রয়োগ করা যাচ্ছে না যে, এভাবে পরপর তিনবার নামাযে থুতু ফেলার দ্বারা তা আমলে কাসীর হওয়ার দরুন নামায নষ্ট হয়ে যায়। অন্য হাদীসে নামাযের মধ্যে এমন কাজে মাশগুল হওয়া থেকে বিরত থাকতে বলা হয়েছে।–সুনানে আবূ দাউদ, হাদীস নং ৯২৪; মিরকাতুল মাফাতীহ, ওয়াসওয়াসা অধ্যায় ১/৩৩৭ (শামেলা)