প্রশ্ন : আসসালামু আলাইকুম। আমি অফিসের একজন উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা। অফিসের সকল কাগজ পত্র আমার নিয়ন্ত্রনে। আমি যদি সতর্কতা মূলক (যেমন: অফিস যেন আমাকে কখনো না ঠকাতে বা জুলুম করতে না পারে, যেমন বেতন না দিয়ে চাকরিচ্যুত করা, কোন ক্ষতির কারণে যেটার জন্য আমি দায়ী না অথচ আমার থেকে তা কর্তন করে চাকরিচ্যুত করা, কোন কিছু হারালে অন্যায় ভাবে আমার থেকে তা কর্তন করে চাকরিচ্যুত করা ইত্যাদি।) অফিসের একটি খালি চেক আমার বাসায় রাখি যাতে তারা জুলুম করলে আমি প্রতিবাদ করতে পারি তবে তা জায়েয হবে কি? উল্লেখ্য যদি আমি কখনো নিজে থেকে অথবা তারা জুলুম না করে আমাকে চাকরিচ্যুত করে তবে আমি তা আমানতের সাথে ফিরত দিবো। কারণ বর্তমানে অনেক অফিসেই এমন হচ্ছে। দেখা গেছে ক্যাশ থেকে অন্য কেউ টাকা চুরি করেছে, অথবা কোম্পানি আমাকে কোন টাকা দিয়ে পাঠিয়েছে আমি সতর্ক থাকা শর্তেও তা হারিয়েছে বা চুরি হয়েছে অথবা অন্য কারো দ্বারা কোন বড় লোকসান বা ক্ষতি হয়েছে অথচ তার সামর্থ্য না থাকায় তার উপরস্থ বা দায়িত্বশীলের বেতন থেকে অথবা দায়িত্বশীলের কোন আমানত কোম্পানির কাছে দেয়া থাকলে সেখান থেকে কর্তন করে। দ্বায়িত্বশীল ও ক্ষতিকারী উভয়কে চাকরিচ্যুত করা হয়। এমতাবস্থায় চেক রাখা জায়েয হবে কি?

উত্তর :

ওয়া আলাইকুমুস সালাম
না, প্রশ্নোক্ত আশংকায় নিয়মের বাইরে এমনটি করা আপনার জন্য জায়েয হবে না। আমানতের খেয়ানত হবে। এর দ্বারা আপনার ধারনা মতে ক্ষেত্রবিশেষে আপনার বৈধ হক উসূল করতে পারলেও কোম্পানিও কিন্তু আপনার সুযোগ গ্রহনে বড় বেকায়দায় পড়তে পারে। বিষয়টি এভাবে ভাবুন, ধরুন আপনি একটি কোম্পানির মালিক। এখন আপনার কোন অধীনস্থ যদি কোন আশংকায় এমনটি করে তবে আপনি বিষয়টি কিভাবে নিবেন? তা কি আমানতের খেয়ানত হবে না।–সূরা নিসা, আয়াত ৫৮; সহীহুল বুখারী, হাদীস নং ৩৩

Loading