প্রশ্ন : আসসালামু আলাইকুম ১। হযরত আমাদের গ্রামের মসজিদের ইমাম বিভিন্ন বিদআত কার্যকলাপে লিপ্ত যেমন (মীলাদ পড়া, মৃত ব্যক্তির নামে যে খানা পিনার ব্যবস্থা করা হয় তা খাওয়া ও দুআ করা, মৃত ব্যক্তিকে কবর দেয়ার পর সম্মিলিতভাবে হাত তুলে দুআ করা) এসব কারনে যদি আমি তার পিছনে নামায না পড়ি তাহলে কি আমার গুনাহ হবে যদিও তার কিরআত ঠিক আছে। ২। আমি মসজিদে জামাআতে নামাজ পড়ার নিয়তে বের হলাম গিয়ে দেখি ইমাম সাহেব কিরআত পড়ছে/রুকূতে গিয়েছে/বৈঠকে আছে। এখন প্রশ্ন হল, ইমাম সাহেব কোন অবস্থায় থাকলে আমার ঔ রাকাআত নামায পুনরায় পড়তে হবে না, বিষয়টি একটু বুঝিয়ে বললে খুব উপকৃত হতাম। ৩। আমার বাবার আয়ের তেমন কোনো উৎস নেই। বিভিন্ন ব্যাংক যেমন গ্রামীন ব্যাংক, ব্রাক ব্যাংক, আশা ব্যাংক থেকে ঋন নিয়ে সংসার পরিচালনা করে। আমার বয়স প্রায় ২২ বছর। আমি পড়াশোনা করি। এক্ষেত্রে আমার কি করা উচিত? ঐ ব্যাংকের ঋনের টাকা নিয়ে পড়াশোনা করা নাকি চাকরি করে ঐ ঋন পরিশোধ করে ব্যাংক থেকে একদম নাম কেটে বের হয়ে আসা। আমাকে স্পষ্টভাবে বুঝিয়ে বললে খুব উপকৃত হতাম।

উত্তর :

ওয়া আলাইকুমুস সালাম
১। মৃত ব্যক্তিকে কবর দেওয়ার পর সম্মিলিতভাবে হাত তুলে দুআ করা হাদীস শরীফ দারা প্রমাণিত। তবে প্রচলিত মীলাদ কিয়ামের শরীআতে কোন অস্তিত্ব নেই। অনুরূপভাবে মৃত ব্যক্তির জন্য দুআ করে বিনিময় নেওয়া বা খাওয়া দাওয়া করা জায়েয নেই। উক্ত ইমাম সাহেব এমন কর্মকাণ্ডে সম্পৃক্ত হলে মসজিদ কর্তৃপক্ষের কর্তব্য হল তাকে অপসারণ করে মুত্তাকী কোন ইমামকে নিয়োগ দেওয়া। কোন মসজিদে এমন বিদআতী ইমাম থাকলে যদি অন্যত্র গিয়ে নামায পড়া যায় তবে তা-ই করবে। আর অন্যত্র যাওয়া অসুবিধা হলে তাদের পিছনেই নামায পড়বে। সেক্ষেত্রে নামায হয়ে যাবে এবং জামাআতের ছাওয়াবও পাওয়া যাবে। এমতাবস্থায় জামাআত তরক করবে না।–সুনানে আবূ দাউদ, হাদীস নং ২৫৩৫; রদ্দুল মুহতার ১/৫৬৩; কাযীখান ১/৯২

২। ইমামের সাথে কোন রাকাআতের রুকু পেলে সেই রাকাআত ধর্তব্য হবে। আর রুকু না পেলে তা ধর্তব্য হবে না। যদিও ইমামকে যে অবস্থায় পাওয়া যায় সে অবস্থাতেই শরীক হওয়া সুন্নাত।–সুনানে আবূ দাউদ, হাদীস নং ৮৯৩; বাদায়েউস সানায়ে ২/২৬৮

৩। সূদী কারবারে সম্পৃক্ত হওয়া অনেক বড় গোনাহের কাজ এবং আল্লাহ তাআলার সাথে যুদ্ধ করার শামিল। তাই যে কোন মূল্যে তা থেকে আপনাদের বের হয়ে আসা জরুরী। আল্লাহ তাআলা ইংশাআল্লাহ বরকতের রাস্তা খুলে দিবেন।–সূরা বাকারাহ, আয়াত ২৭৯; সহীহ মুসলিম, হাদীস নং ৪১৭৭

Loading